গাজায় দখলদার ইসরাইলি বোমা হামলার বিরুদ্ধে হাজার হাজার জার্মান গত ১৫ মে, শনিবার জার্মানিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু জনমত উপেক্ষা করে জার্মান সরকার ফিলিস্তিন সমর্থনে করা বিক্ষোভটিকে করোনা ভাইরাসের ঠুনকো অজুহাতে পুলিশ দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।
রাজধানী বার্লিনের নয়কেইন জেলায় তরুন বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশ লাঠি পেটা করে। ফলে কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশের উপর বোতল, পাথর ও পটকা ছুঁড়ে মারে। গ্রেফতারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়া ও করোনা ভাইরাস স্বাস্থ্য বিধি লঙ্ঘনের অজুহাতে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে।
এর আগে গত ১৫, মে শনিবার ফিলিস্তিনি মুসলিম সমর্থনে জার্মানির বার্লিন, কোলন, স্টুটগার্ট ও হামবুর্গের মতো প্রধান প্রধান শহরে হাজার হাজার জার্মান স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে পড়ে। তারা ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি পোষণ করে শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
বার্লিনে বিক্ষোভ চলাকালে, গাজায় অব্যাহত বিমান হামলায় দখলদার ইসরাইলকে নিঃশর্ত সমর্থনের দরুন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের কেন্দ্রীয়-ডানপন্থী সরকারের কঠোর সমালোচনা করা হয়।
“জার্মানি ইসরাইলি যুদ্ধপরাধকে সমর্থন করা বন্ধ করো”, ” ইসরাইলের পাশে না দাঁড়িয়ে ন্যায়বিচারের পাশে দাঁড়াও”- প্ল্যাকার্ড বহন করে বিক্ষোভকারীরা জার্মানিকে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন অবিলম্বে বন্ধ করার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে ইসরাইলপন্থী লবির ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ নিষিদ্ধের তীব্র চাপের মধ্যে জার্মানি ফিলিস্তিনি মুসলিম সমর্থনে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ প্রত্যক্ষ করলো।
জার্মান প্রশাসন নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে শনিবার সকালের ফিলিস্তিনি সমর্থনে ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরের বিক্ষোভটি বন্ধ করে দেয়।