আফগানিস্তানে তালিবান মুজাহিদদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে এবং তারা বিনা লড়াইয়ে একের পর এক শহর ও জেলা কেন্দ্র দখলে নিচ্ছেন। সেই ধারায় তালিবানরা বদখশান প্রদেশের ২৮ জেলা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। এসময় হাজারেরও বেশি কাবুল সেনা ভয়ে আশেপাশের তাজিকিস্তান সীমানা হয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী তালিবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় বদখশান সীমান্তের দিকে খুব দ্রুততার সাথে অগ্রসর হচ্ছেন। যার ফলে শত শত কাবুল সেনা সীমান্ত রেখা পার হয়ে তাজিকিস্তানে প্রবেশ করেছে।
বদখশানে তালিবানদের বিজয়গুলি খুবই অসাধারণ ছিল, কারণ এটি সর্বদা মার্কিন মিত্র নেতাদের একটি শক্ত ঘাঁটি ছিল। যারা ২০০১ সালে তালিবান সরকারকে পরাস্ত করতে ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করেছিল। অথচ বর্তমানে তালিবানরা প্রদেশটির যেই জেলার দিকেই অগ্রসর হচ্ছে, সেই জেলা থেকেই কাবুল প্রশাসনের কর্মকর্তারা শুধু পালাচ্ছে আর পালাচ্ছে। আফগান সেনা, পুলিশ এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এখন তাদের সামরিক অবস্থান ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে তাজিকিস্তান বা বদখশান প্রদেশের রাজধানী ফয়েজাবাদে চলে গেছে এবং ফয়েজাবাদ থেকে রাজধানী কাবুলের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে। তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের তথ্যমতে, ৫ জুলাই তালিবানদের ভয়ে ৩০০ কাবুল সৈন্য বদখশান থেকে পালিয়ে তাজিকিস্তানে প্রবেশ করেছে।
বদখশানে কাবুল সেকারের কাউন্সিলর সদস্য মহিবুর রহমান আফগান সেনাবাহিনীর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে যে, তালিবানরা বিনা লড়াইয়ে যুদ্ধে জয়লাভ করছে, কারণ আফগান সেনাবাহিনী ভেঙে পড়েছে, তারা তালিবানদের আসার সংবাদ পেয়েই জেলাগুলো ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। গত ৩ দিনে তালিবানরা ১০ টি জেলা দখল করেছে যার মধ্যে ৮ টি জেলাই তালিবানরা বিনা লড়াইয়ে জয় করে নিয়েছে।
তালিবানদের রিপোর্ট অনুযায়ী, বদখশান প্রদেশের সমস্ত জেলা কেন্দ্র দখল করে নিয়েছেন তালিবান মুজাহিদগণ। এখন কেবল প্রাদেশিক রাজধানী ফয়েজাবাদ শহরের মাত্র ২০% এলাকার উপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে কাবুল বাহিনীর। এই ২০% এলাকাও আবার মুজাহিদদের অবরোধের শিকার। যার ফলে কাবুল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা হেলিকপ্টার দিয়ে রাজধানী কাবুলে পালিয়ে যাচ্ছে।
প্রদেশটির সর্বমোট জেলা সংখ্যা ২৮টি, যার মধ্য থেকে ১০ টি মুজাহিদগণ আগেই বিজয় করে নিয়েছেন। আর এখন এক সপ্তাহের মধ্যে মুজাহিদগণ প্রদেশটির বাকি ১৮ টি জেলাও দখলে নিয়েছেন। আল্লাহু আকবার।
এদিকে তালিবানরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে সতর্ক করে দিয়েছে যে, সেপ্টেম্বরে প্রত্যাহারের সময়সীমার পরে কোনও বিদেশি সেনা আফগানিস্তানে থাকার কথা নয়, অন্যথায় তাদের জীবন অনিরাপদ হয়ে পড়বে।
কূটনীতিক এবং কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রক্ষার জন্য এক হাজার মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে থাকতে পারে এমন রিপোর্টের পরেই তালিবান এই বিবৃতি দিয়েছে।
Alhamdulillah, Allah promise for victory & Tagut leader promise for lost now, we saw Allah’s promise is true.
মুহতারাম ভাই বাংলায় লিখলে আমাদের বুঝা সহজ হত।
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ ওয়াদা দিয়েছেন বিজয়ের আর কাফের নেতা ওয়াদা দিয়েছে আমাদেরকে পরাজিত করার। আমরা দেখব যে , আল্লাহর ওয়াদাই সত্য।
Alhamdulillah
আলহামদুলিল্লাহ্
Alhamdulillah
আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ যেন আগামী সেপ্টেম্বরের আগে পুরো আফগান মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে দিয়ে দেন।আমীন।
হৃদয় ভরে যায়। আবেগে হই আপ্লুত।
মনে পড়ছে মোল্লা ওমর রাহিমাহুল্লাহর ঐ বাণী,
যা তিনি বলেছিলেন ন্যাটো জোট আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালানোর পর। তিনি বলেছিলেন :
“আল্লাহ আমাদেরকে বিজয়ের ওয়াদা দিয়েছেন, আর বুশের ওয়াদা- আমাদেরকে পরাজিত করবে। অচিরেই আমরা দেখতে পাবো, কার ওয়াদা সত্য!!”
আজ দুই দশক পর আমরা দেখছি: আমাদের মহান রব আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! ইন্নাহূ লা ইউখলিফুল মীআদ!
আলহামদুলিল্লাহ! খুব মনে পড়ছে খালিদ বিন ওয়ালিদ, আবু ওবাইদাহ ইবনুল জাররাহ ও মুসান্না বিন হারিসা রাঃ এর বিজয় গাঁথা সমূহ।
আল্লাহ তা’য়ালা মুজাহিদগণের সফল বিজয়াভিযান অব্যাহত রাখুন। তাদেরকে সকল বালা মুসিবত থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
আলহামদুলিল্লাহ সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ
আজকেই পড়ছিলাম আবু বকর রা: এর খিলাফত কালে কিভাবে খালিদ বিন ওয়ালিদ রা: একের পর এক একেক অঞ্চল বিজয় করেছিলেন আল্লাহ তায়ালার সাহায্যে
এ যেন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
نصر من الله وفتح قريب
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, আল্লাহর লাখ লাখ শুকরিয়া
রানিং খেলাফাতে রাশেদা স্টাডিজ, যেন মনে হচ্ছিল সোনালি যোগের ইতিহাস ফিল-হাল পূণরাবৃত্তি হচ্ছে।