টানা ভারী বর্ষণ ও মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভয়াবহ বন্যায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে কক্সবাজারের চকরিয়া। অধিকাংশ ইউনিয়ন এবং চকরিয়া পৌরসভার লোকালয় বানের পানিতে ভাসছে। এই অবস্থায় অন্তত ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ভেঙে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। টিউবওয়েল ও বসতবাড়ির রান্নার চুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছে পরিবারগুলোতে। অনেক স্থানে বাড়ির চালা পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুঁটছে হাজারো মানুষ।
এদিকে মাতামুহুরী নদীতে নেমে আসা উজানের পানির প্রবল তোড়ে কয়েকটি স্থানে ভেঙে গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধও। এতে চকরিয়ার উপকূলীয় মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে নতুন করে ঢুকে পড়ছে বানের পানি। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় ভয়াবহ পাহাড় ধসের শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের মাঝে।
উপজেলা সদরের সঙ্গে ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের মাধ্যম সড়কগুলো কয়েকফুট পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। উপজেলা সদরের সাথে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরী প্রয়োজনে মানুষ নৌকায় চেপে যাতায়াত করছে। মাতামুহুরী নদীতে নেমে আসা উজানের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ওপর টানা বর্ষণ অব্যাহত থাকায় মানুষের মাঝে আতঙ্কও ছড়াচ্ছে। দুই উপজেলার ফসলী জমিও বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকস্থানে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।
চকরিয়া উপজেলার কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বমুবিলছড়ি, লক্ষ্যারচর, ফাঁসিয়াখালী, কৈয়ারবিল, হারবাং, বরইতলী, ডুলাহাজারা, খুটাখালী, চিরিংগা, সাহারবিল, পূর্ব বড় ভেওলা, বিএমচর, কোনাখালী, ঢেমুশিয়া, পশ্চিম বড় ভেওলা, বদরখালী গ্রামের পর গ্রাম কোমর সমান পানিতে তলিয়ে গেছে।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ভারি বর্ষণের কারণে ইউনিয়নের অধিকাংশ ওয়ার্ডের ১হাজারের অধিক বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বিশেষ করে হাজিয়ান, উত্তর ঘুনিয়া, দক্ষিণ ঘুনিয়া ও ছড়ারকুল এলাকায় বন্যায় তলিয়ে গেছে বেশ কিছু ঘরবাড়ি।
আল্লাহ হেফাজত করুন আমিন
আল্লাহ হেফাজত করুন আমিন