আফগানিস্তানে ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনীর যুদ্ধাপরাধের তদন্তের জন্য জাতিসংঘে (ইউএন) চিঠি দিবে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান।
তালিবান মুখপাত্র এবং ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপমন্ত্রী মুহতারাম জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ হাফিজাহুল্লাহ্ স্পুটনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তাঁরা জাতিসংঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার কথা ভাবছেন।
গত ২৬ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের বিমানবন্দরে হামলা হয়। আইএসআইএস উক্ত হামলা ক্রুসেডার মার্কিন সৈন্যদের টার্গেট করেছিল। কিন্তু বিভিন্ন সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে যে, মার্কিন সৈন্যরা আক্রমণের পরেও গুলি করে এই অঞ্চলে বেসামরিক লোকদের হত্যা করেছে।
একই সময়ে, এই আক্রমণের কিছু দিন পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাবুলে ড্রোন হামলা চালায়, এতে কমপক্ষে ১০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়, যাদের মাঝে কয়েকজন ছিল শিশু।
জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, “কাবুল হামলায় বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল মার্কিন সৈন্যদের খোলা গুলিতে।
কাবুল এবং বিমানবন্দরের আশেপাশের ঘটনাগুলির ফলে সাধারণভাবে নারী ও শিশুসহ অনেক বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং একটি আইনি সমস্যা। আমরা জোর দিয়ে বলছি যে, এটি স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধ। আমরা জাতিসংঘ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থার কর্তৃপক্ষের কাছে এবিষয়ে অভিযোগ করব।”
যদিও জাতিসংঘে তালিবানদের আনুষ্ঠানিক এই অভিযোগ থেকে কোন ফল আশা করা যায় না, তবে মনে করা হচ্ছে যে, আফগানিস্তানের নতুন প্রশাসন ধীরে ধীরে মার্কিন সমর্থিত বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ নিয়ে কথা বলবেন এবং তাঁরা এসব যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধ জোর আওয়াজ তুলতে থাকবেন।