গতকাল থেকে কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দুই দিন ব্যপি বৈঠক শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধিদল। এদিকে, আফগানিস্তানে একটি সমন্বিত সরকার গঠনে প্রস্তুতি নিচ্ছে তালিবান কর্তৃপক্ষ। তবে, ওই সরকারে কে থাকবে বা কে থাকবে না তা নিয়ে পশ্চিমাদের নির্দেশনা মানবেন না বলে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিয়েছেন তালেবানের মুখপাত্র মুহতারাম সুহাইল শাহিন।
আফগানিস্তানে একটি সমন্বিত সরকার গঠনে পশ্চিমাদের চাপের প্রেক্ষিতে তালেবান কর্তৃপক্ষ গত মাসে জানিয়েছে, জাতিগত সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের নতুন তালেবান সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়া হবে। পরে নারীদেরও তালেবান সরকারে স্থান দেয়া হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র নতুন তালেবান সরকারে সাবেক আফগান সরকারের যে সকল সদস্যকে স্থান দেয়ার কথা বলেছে, তাতে কোনো আগ্রহ দেখায়নি তারা।
এ বিষয়ে আল-জাজিরাকে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও জাতিসঙ্ঘে আফগান রাষ্ট্রদূত মুহতারাম সুহাইল শাহিন বলেন, আফগানিস্তানের জনগণ সরকারব্যবস্থা ও মন্ত্রিসভায় দেশের সব জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের অন্তর্ভূক্ত করতে প্রস্তুত আছে। একসময় সরকারে নারীদেরও যুক্ত করা হবে। কিন্তু নির্বাচনভিত্তিক সরকার কখনও জনগণ মেনে নেবে না, এবং বিশ্বকে অবশ্যই আফগান জনগণের এই মনোভাবকে সম্মান করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর তালিবান কর্তৃপক্ষ ইসলামিক আমিরাত ঘোষণার পর থেকেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু, পশ্চিমা সরকারগুলো বলে আসছে যে, তারা নতুন তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে দেশটির নারী ও সংখ্যালঘুদের সাথে তাদের আচরণ অনুসারে।
পশ্চিমারা মূলত মানবাধিকার বা নারী অধিকারের শ্লোগান তুলে মুসলিম বিশ্বে নারীবাদের নোংরা সাংস্কৃতি চাপিয়ে দিতে চায়। নারীদের সমান অধিকারের কথা বলে তারা মুসলিম মহিলাদেরকে পুরুষ অভিভাবকের ছায়া থেকে সরিয়ে তাদের জীবনকে নিরাপত্তাহীনতার জন্য উন্মুক্ত করা দিতে চায়। অথচ তাদের এসব সমাজ বিধ্বংসী তত্ত্বের স্বরূপ আমরা তাদের দেশগুলোতেই দেখতে পাই, কিভাবে স্বাধীনতার নামে নারীদেরকে সেখানে অবাধ যৌনতা আর ভোগ্য বস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। সুতরাং, এই পরিস্থিতি আফগানিস্তানের ভূমিতে কখনোই সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হতে দেবেনা তালিবানের ইসলামী সরকার। সূত্র: ইনকিলাব