পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় পশ্চিমা সমর্থিত প্রশাসেনর বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সেনা সদস্যদের উপর হামলা চালিয়েছেন ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা। যাতে ১২ জন নিহত এবং আরও ২ জন আহত হয়েছে।
শাহাদাহ নিউজের বিবরণ অনুযায়ী, আজ ২৬শে ডিসেম্বর রবিবার সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর দিনালি জেলায় পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার সোমালি সরকারি বাহিনীর একটি সামরিক ব্যারাকে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। যাতে ১ অফিসারসহ ৬ গাদ্দার সেনা নিহত এবং আরও ২ সেনা আহত হয়েছে।
দেশটির সিংহভাগ অঞ্চলের উপর কর্তৃত্বকারী ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব এই আক্রমণটি চালিয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আশ-শাবাবের তথ্য অনুযায়ী, হামলায় গাদ্দার সৈন্যরা হতাহত হওয়া ছাড়াও মুজাহিদগণ দুটি মেশিনগান গনিমত পেয়েছেন।
এদিন রাজধানী মোগাদিশু ও কিসমায়ো শহরে আরও ২টি পৃথক হামলা চালান আশ-শাবাবের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এর মধ্যে কিসমায়ো শহরে একটি গাড়ি লক্ষ্য করে সফল বিস্ফোরণ ঘটান মুজাহিদগণ, যাতে গাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায়। সূত্রমতে আশ-শাবাব যোদ্ধারা এই বিস্ফোরণের মাধ্যমে জুবাল্যান্ড প্রশাসনের ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসের উচ্চ পদস্থ এক কর্মকর্তাকে হত্যা করেন। অপরদিকে রাজধানীতে পরিচালিত হামলায় অপর এক গাদ্দার সৈন্যকে হত্যা করা হয়।
এমনিভাবে সোমালিয়ার জুবা রাজ্যে আরও একটি বীরত্বপূর্ণ অপারেশন সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন মুজাহিদগণ। এই অভিযানের মাধ্যমে মুজাহিদগণ তাবতু শহরের মেয়র “মোহাম্মদ জাইস” এবং শহরের শুল্ক কর্মকর্তা “ওমর আবু বকর” এবং সেইসাথে তাদের দেহরক্ষীদের মধ্য থেকে একজনকে হত্যা করা হয়েছিল। অভিযান শেষে ফিরার পথে মুজাহিদগণ নিহত গাদ্দার সদস্যদের ৩টি অস্ত্রই গনিমত হিসাবে লাভ করেন।
আল-কায়েদার এই পূর্ব আফ্রিকান শাখাটি অতি দ্রুতই গোটা সোমালিয়া ও তৎসংলগ্ন এলাকাজুড়ে একটি সফল ইসলামি ইমারত প্রতিষ্ঠিত করবে বলে আশা প্রকাশ করছেন ইসলামি চিন্তাবিদগণ। আর এর ফলে আফ্রিকার মুল্যবান খনিজ সম্পদগুলো পশ্চিমা দেশে পাচার না হয়ে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণেই কাজে লাগানো যাবে বলেও আশাআ প্রকাশ করেছেন তারা।