ব্রিটেনভিত্তিক এক আইন সংস্থা কাশ্মিরে ‘যুদ্ধাপরাধের’ দায়ে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে ও চরম ইসলাম বিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদী ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে গ্রেফতারের জন্য ব্রিটিশ পুলিশের কাছে আবেদন করেছে।
স্টোক হোয়াইট নামের এই আইন সংস্থাটি তাদের আবেদনে জেনারেল নারাভানে ও অমিত শাহের নেতৃত্বে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হাতে কাশ্মিরে অধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও বেসামরিক নাগরিকদের নির্যাতিত, অপহৃত ও হত্যার শিকার হওয়ার বিপুল প্রমাণ জমা দিয়েছে।
কাশ্মিরের পরিস্থিতি নিয়ে সংস্থাটির প্রতিবেদনে প্রায় দুই হাজার সাক্ষীর বক্তব্য যোগ করা হয়। ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই সাক্ষীদের বক্তব্য নেয়া হয় এবং এতে কাশ্মিরে সরাসরি যুদ্ধাপরাধ ও নিপীড়নের দায়ে অনুল্লিখিত শীর্ষস্থানীয় আরো আট ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, কাশ্মিরে স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা জিয়া মোস্তফা ও মানবাধিকার কর্মী মুহাম্মদ এহসান আনতুর পরিবারের পক্ষ থেকে এই তদন্ত ও গ্রেফতারির আবেদন করা হয়। জিয়া মোস্তফাকে গত বছর হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় সামরিক বাহিনী বিচার বহির্ভূতভাবে খুন করে। অপরদিকে চলতি মাসে এহসান আনতুকে গ্রেফতারের পর ভারতীয় কারাগারে তার ওপর নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হিন্দুত্ববাদী ভারত তাদের এজেন্ডা অর্থাৎ অখন্ড ভারত বাস্তবায়নের জন্য কাশ্মীরে গণহত্যা চালাচ্ছে। এবং ইতোমধ্যে হিন্দুত্ববাদী ভারত গোটা দেশে মুসলিম গণহত্যার চূড়ান্ত ধাপ থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে আছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, পশ্চিমারা ভারতের মিত্র- তাই তারা শুধুমাত্র বিশেষ কিছু স্বার্থ হাসিলের জন্য বা লোক দেখানোর জন্যই এমন বিচারের উদ্যোগ নিয়ে থাকে। আর এতে মুসলিমদের খুব বেশি আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। মুসলিমদেরকে তাই নিজেদের ন্যায়বিচার আদায়ের দায়িত্ব নিজেদেরকেই নিতে হবে বলে মত দিয়েছেন অনেকেই।
তথ্যসূত্র:
—–
১। কাশ্মিরে-যুদ্ধাপরাধ-ভারতীয়-সেনাপ্রধানকে-গ্রেফতারের-আবেদন
https://tinyurl.com/2s36psr7