সিরিয়ায় আলেপ্পো শহরের একটি শরনার্থী কেম্পে তীব্র শীতে রক্ত জমাট বেধে মুহাম্মদ জুনায়েদ নামে এক ছোট্ট সিরায়ান শিশু মারা গেছে। এর আগেও অনেক সিরিয়ান শিশু শীতে জমে মারা গেছে।
সিরিয়ায় শীতের তীব্রতায় এখন এমন যে পানি জমে যায়। বাস্তুচ্যুত সিরিয়ান মুসলিমরা এখানে পলিথিন দিয়ে গাদাগাদি করে বসবাস করছেন। এই শীতে নিজেদের উষ্ণ রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা। কারণ, এখন সিরিয়ায় তুষারপাত হচ্ছে। শীত-তুষার সব মিলিয়া চরম মানবেতর জীবন-যাবন করছে তারা।
২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে এক দফায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আলেপ্পো ও ইদলিব থেকে। এ সংখ্যাটি অন্তত ৯ লাখেরও বেশি। উপরন্তু, রাশিয়া-ইরান ও সিরিয়ান সরকার কসাই বাশার আল আসাদের বাহিনী বেসামরিকদের ওপর নির্বিচারে গোলাবর্ষণের ফলে খোলা আকাশের নিচে- গাছের নিচে, তুষারে ভরা মাঠে- ঠাঁই গাড়তে বাধ্য হয়েছেন হাজার হাজার মুসলিম।
বাস্তুচ্যুত এসব মুসলিমদের ৮০ শতাংশই নারী ও শিশু। সবচেয়ে বেশি কষ্ট তাদেরই সহ্য করতে হচ্ছে। মানুষে মৌলিক ৫টি অধিকারের সবগুলোই এখানে উপেক্ষিত।
কথিত নারীবাদী, সুশীল সমাজ, জাতিসংঘ নারী অধিকারের মুখরোচক স্লোগান দিলেও, সিরিয়ার মুসলিমদের পক্ষে ঠুনকো বিবৃতি দেওয়া ছাড়া কোন কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়নি তারা। আর আরেক মানবতার ফেরিওালা সন্ত্রাসী রাষ্ট্র অ্যামেরিকা তার প্রক্সি বাহিনীকে সাহায্য করার নামে মুসলিমদের তেল সম্পদ চুরি ও পাচার করছে; সেই সাথে বোমা মেরে বেসামরিক মুসলিম হত্যাও তারা সমানতালে চলিয়ে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, তথাকথিত এইসব মানবতাবাদী, সুশীল সমাজ এবং জাতিসংঘ মুসলিমদের পক্ষে কোন পদক্ষেপ না নেওয়াটা অবাক করার কোন বিষয় নয়। বরং এসব সংস্থাগুলো আগ্রাসী ক্রুসেডারদের একে পরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করএ থাকে। তাদের কেউ অংশ নিচ্ছে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সামরিক লড়াইয়ে আর অন্যরা অংশ নিচ্ছে মনস্তাত্ত্বিক লাড়াইয়ে।
এজন্য এসব এসব কথিত মানবতাবাদীদেরকে ও জাতিসংঘেকে বন্ধু নয়, বরং শত্রুজ্ঞান করে তাদের মুখোশ উন্মোচন করার আহ্বান জানিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যসূত্র:
—–
১। Little Mohammed Junaid died due to severe cold in Zughra camp in the countryside of Jarablus, north of Aleppo, Syria.
– https://tinyurl.com/3uxmm7f9