ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাধায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ডাবল লাইন, দুটি স্টেশন ও সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। শূন্যরেখার ১৫০ গজের ভেতর নির্মাণ কাজ হচ্ছে- এমন বানোয়াট অভিযোগে বিএসএফের বাধার মুখে গত বছরের ৪ এপ্রিল থেকে এই নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। এতে মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, এর ফলে নির্দিষ্ট সময়ে তারা কাজ শেষ করতে পারবে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলজংশন থেকে লাকসাম রেলজংশন পর্যন্ত ডাবল লাইনের কাজ চলছে। আখাউড়া থেকে শশীদল পর্যন্ত প্রায় ৩২ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ, ৬টি রেলওয়ে স্টেশন, ব্রিজ, কালভার্ট তৈরির কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন। রেললাইন নির্মাণকাজের প্রায় শেষ পর্যায়ে চলছে রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণের কাজ। কসবা রেলওয়ে স্টেশন ও সালদানদী রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণকাজ শুরু করে প্রায় অর্ধেক কাজ শেষ হওয়ার পর কাজে বাধা দেয় বিএসএফ।
অথচ কসবা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সমর দে নিশ্চিত করে বলেন যে, কসবা রেলওয়ে স্টেশনটি ভারতীয় সীমান্তের ১৫০ গজের বাইরে। এ স্টেশনটি ১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠা হয়।
ঐ ব্যক্তি আরও বলেন, ভারতীয় বিএসএফের বাধার কারণে স্টেশনের নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে।
বিষয়টি সমাধানের জন্য সম্প্রতি স্থানীয় সাংসদ আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে জটিলতা নিরসনে আলোচনা হলে গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় কসবার রেলস্টেশন, সালদানদী ব্রিজ ও সালদানদী রেলস্টেশনের কাজ। কাজ শুরু হওয়ার তিন দিনের মাথায় পুনরায় বিএসএফ কসবা রেলস্টেশন ও সালদানদী রেলস্টেশন নির্মাণের কাজে বাধা দিলে কাজ বন্ধ রাখেন তমা কন্সট্রাকশনের লোকজন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সিভিল ডিপার্টমেন্টের প্রকৌশলী সোহেল রানা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকার পর গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু হলেও বিএসএফের বাধায় এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ২৭ ডিসেম্বর বিকেল থেকে আবারও কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা এখন তাই প্রশ্ন তলছেন যে, বাংলাদেশের একজন মন্ত্রী ও ভারতীয় হাইকমিশনার মিলে সমস্যা সমাধানের পরেও বিএসএফ আবার কাজে বাধা দেওয়া এটাই প্রমাণ করে যে, তাদের কাছে এদেশের কোন মন্ত্রীর কোন মূল্যই নেই। এই ঘটনা আরও প্রমাণ করে যে, ভারতীয় হাইকমিশনার সহ অন্যান্যরা বাংলাদেশের মানুষের সাথে কেবল বন্ধুত্বের ফাঁপা বুলেই দেয়, বাস্তবে তারা বাংলাদেশের ইসলামপ্রিয় মুসলিমদের প্রতি চরম বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে। আর তাদের এসব ফাঁপা বুলির বাস্তবে কোন মূল্যই নেই।
এ বিষয়ে বিজিবি কর্তৃপক্ষ বেশি কিছু জানাতে রাজি হয়নি। গতকাল ৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে ৬০ বিজিবির অধীন কসবা কোম্পানি কমান্ডার মো. আবদুস ছোবান বলেন, বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
বিজিবি’র এমন নির্লিপ্ততাও সচেতন মহলে প্রশ্নের জন্ম দেয় যে, বিজিবি কি এখন সীমান্তে তাদের মূল দায়িত্ব আগ্রাসী সত্রুর মকাবিলা ছেড়ে এদেশের মুসলিমদের বুকে গুলি ছোরার হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করে চলেছে?
ইসলামি চিন্তাবিদগণ তাই মনে করেন যে, এদেশের মুসলিদের এখন সময় এসেছে ঘরের ও বাইরের শত্রুকে ভালো করে চিনে নেওয়ার, এবং তাদের ভবিষ্যৎ আসন্ন বিপদ মোকাবিলার চিন্তা-ফিকির করার। তা না হলে অচিরেই হয়তো হিন্দুত্ববাদী শক্তি ও তাদের এদেশীয় দোসরেরা মিলে বাংলার মুসলিমদের ভাগ্যে এক মহাবিপর্যয়ের অবতারনা করবে।
তথ্যসূত্র
বিএসএফের বাধায় দুটি রেলস্টেশন ও একটি সেতুর নির্মাণকাজ ১০ মাস ধরে বন্ধ
https://tinyurl.com/swcdsvht
মাদারের বাচ্চাগুলাকে কুত্তার মত পিটানো দরকার।