সম্প্রতি ক্রুসেডার ইউরোপীয় কাউন্সিলের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের নতুন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় একটি জিহাদি গোষ্ঠী এবং তার দুজন নেতাকে যুক্ত করা হয়েছে।
ক্রুসেডার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ঘোষণা করেছে যে, আল-কায়েদা এবং আইএসআইএসের সহযোগী কিছু স্থানীয় গোষ্ঠী এবং ব্যক্তির উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার তালিকা নতুন করে প্রসারিত করা হয়েছে। এতে আরও একটি দল ও দুজন নেতাকে তালিকাভুক্ত করেছে ‘ইইউ’।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় সিরিয়া ভিত্তিক তানযিম হুররাস আদ-দ্বীন গ্রুপ যুক্ত হয়েছে, যাটি বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার সাথে সু-সম্পর্ক রেখে কাজ করে আসছে। সেই সাথে সিরিয়া ভিত্তিক এই প্রতিরোধ বাহিনীটির অন্যতম দু’জন উমারাকেও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, দলটির আমীর শাইখ ফারুক আস-সুরি (আবু হাম্মাম) হাফিজাহুল্লাহ্ এবং শরিয়াহ্ বোর্ডের প্রধান শাইখ সামি আল-উরাইদী হাফিজাহুল্লাহ্।
বিবৃতিতে মানবতার দুশমন ঐ ক্রুসেডার ইউনিয়ন উল্লেখ করেছে যে, প্রতিরোধ বাহিনী হুররাস আদ-দ্বীন এবং এর উমারারা “ইউরোপ এবং আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুতর হুমকির সৃষ্টি করছে।” সেই সাথে তারা এটাও দাবি করেছিল যে, ” দলটি সিরিয়ায় তার সদস্যদের অত্যাধুনীক সব সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। যাদেরকে বহির্বিশ্বের বিরুদ্ধে হামলায় ব্যবহার করা হতে পারে।”
উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন ধরেই তানযিম হুররাস আদ-দ্বীন স্যেকুলার-ঘেঁষা বিদ্রোহী গ্রুপ ‘HTS’ এর কারণে সিরিয়ার রণাঙ্গনে তাদের প্রাকাশ্য সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। গোপনে দলটির দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা আর মাঝে মাঝে ২-১টি গেরিলা হামলা ছাড়া দলটির কোন কার্যক্রমই এখন আর দেখা যায় না। তথাপিও আন্তর্জাতিক কুফ্ফার শক্তিগুলো হুররাস আদ-দ্বীনকে এতটাই ভয় পাচ্ছে যে, দলটিকে নতুন করে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করেছে
দীর্ঘ কয়েকমাস পর দলটি গত ২০ মে তাদের সর্বশেষ অভিযানটি চালান ইদলিবের বাহিরে লাতাকিয়ায়। যা আসাদ সরকারের একটি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে সেনা কাফেলার ভিতরে ঢুকে এককভাবে চালানো হয়েছিল। এতে উচ্চপদস্থ অর্ধডজন কমান্ডার সহ একডজনেরও বেশি নুসাইরি শিয়া মিলিশিয়া নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেক সৈন্য। পরিশেষে ঐ জানবায মুজাহিদও শাহাদাত লাভে ধন্য হন।
হুররাস আদ-দ্বীন সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলো নিশ্চিত করেছে যে, এই হামলাটি দলটির একজন সদস্যের একাকী হামলা ছিলো, যিনি এককভাবেই এটি আঞ্জাম দিয়েছেন। হামলাটি দলটি থেকে অফিসিয়ালি চালানো হয় নি।
বরকতময় এই গেরিলা হামলায় নিহত নুসাইরি সরকারি বাহিনীর উচ্চপদস্থ কয়েকজন কমান্ডারের ছবি…
HTS সেক্যুলার ঘেষা এটা জানতাম না।
HTS এবং সিরিয়ার অন্যান্য জিহাদী গ্রুপ গুলো নিয়ে আগের এবং বর্তমানের অবস্থা তুলে ধরে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করলে ভাল হয়!