কথিত গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী ইউরোপ মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশের একটি রাষ্ট্র গ্রিস। রাজধানী এথেন্স। সেখানে অন্তত দুই লাখ মুসলিম বসবাস করেন। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলেও সত্য যে, শহরটিতে মুসলিমদের আনুষ্ঠানিক কোনো কবরস্থান নেই। কেউ মৃত্যুবরণ করলে তাকে দাফন করতে সীমাহীন বিড়ম্বনায় পড়তে হয় সেখানকার মুসলিমদের।
গ্রীস ইসলামী সংস্থা জানায়, সেখানে মুসলিমদের জীবন-মরণ উভয়টিই অস্বস্তিকর। কোনো মুসলিম মারা গেলে নিজেদের মাটিতে তাদের দাফন করা নিষিদ্ধ। কবরস্থান যেখানে রয়েছে, সেখানে পৌঁছতে দীর্ঘ সময় ও পথ পাড়ি দিতে হয়। এখানে বসবাসরত ২ লাখ মুসলিমের জন্য যা অত্যন্ত কষ্টের। কিন্তু তারা আর কী করবে-মৃতকে তো দাফন করতেই হবে?
ওই সংস্থাটি জানায়, মৃতকে দাফনে অন্তত ৭৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কমুতিনি শহরে যেতে হয় এথেন্সের মুসলিমদের। তারা সেখানেই তাদের মৃতদের দাফন করেন। গ্রীসের রাজধানী এথেন্সে কবরস্তান নির্ধারণে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কারণেই মূলত এই বিড়ম্বনা।
অথচ সতাব্দিকালের কিছু বেশি আগেই এই গোটা গ্রিস এবং পূর্ব ইউরোপের অধিকাংশ এলাকাই ছিল মিউস্লিমদের কর্তৃত্বাধিন; এই এই অঞ্চল সহ গোটা বলকান অঞ্চল ছিল উসমানী খিলাফতের অধীনে। আর সেই ভুমিতেই আজ মুসলিমরা নিজেদের ম্রিতদের দাফন করতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। কিন্তু মুসলিম সাশনামলে কোন গ্রিককে, কোন খ্রিস্টানকে বা অন্য কোন ধর্মাবলম্বীকে মৃতদেহ সৎকারে কোন ধরণের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে- এমন নজির ইতিহাসে নেই। আর এই গ্রিসকেই কি না বলা হয় কথিত গণতন্ত্রের সূতিকাগার। এটাই কি কথিত সভ্য ইউরোপের গণতন্ত্র আর সমানাধিকারের নমুনা – এমন প্রশ্ন রেখছেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ।
শুধু এথেন্সেই যে বিষয়টি এমন ব্যাপারটি এমন নয়; বরং গ্রীসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর থেসালোনিকিতেও মুসলিমদের একইরকম অবস্থা। সেখানেও কবরস্তান বানানোর অনুমতি নেই মুসলিমদের। তাদেরকেও মৃতদের দাফনে শহরের বাইরে বের হতে হয়।
মুসলিমদের প্রতি গ্রীস সরকারের এই আচরণের কারণ- তারা মুসলিম। তাদের ওপর রাজনৈতিক সংকীর্ণতা তৈরি করা। একই কারণে মুসলিমদের মসজিদ নির্মাণেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কথিত এই গণতান্ত্রিক দেশে। অথচ, তারাই সকল মানুষের সমান অধিকারে কথা বলে। আবার মুসলিমদের বেলায় সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করে।
প্রতিবেদক : মাহমুদ উল্লাহ্
তথ্যসূত্র :
১. এথেন্সে ২ লাখ মুসলিমের নেই কোনো কবরস্থান, সীমাহীন বিড়ম্বনা নিয়ে যেভাবে দাফন করা হয় মৃতদের – https://tinyurl.com/38fuwfwc
বাংলাদেশে ইদানিং আগুনের কান্ড বেশি হচ্ছে। তাহলে এখানেও কি Raw এর হাত আছে?
Realitychek এর কাছে অনুসন্ধানের আবেদন রইল।
র এর হাত অনেক বড় ভগবান এর পর্যন্ত তাই এখানে র কেন আরো বড় গোয়েন্দা সংস্থার হাত থাকতে পারে।
তবে আমরা আমাদের কাজ করব সময় নাই কারণ হাত কোথায় দেখার ।
ক্বদিমুন ইয়া দিহ্লী