পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির কেন্দ্রীয় অংশে জাতিসংঘের কথিত শান্তিরক্ষা বাহিনীর উপর পর পর ৩টি হামলা চালিয়েছে ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে এক ডজনেরও বেশি জর্ডানিয় ও মিশরীয় সেনা হতাহতের শিকার হয়েছে।
জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মালির কেন্দ্রীয় অংশে রাস্তায় বিছানো বিস্ফোরক বিস্ফোরণের শিকার হয়েছে শান্তিরক্ষী বাহিনীর একটি কনভয়। যা গত ৩ জুন সকালে সংঘটিত হয়েছে। এতে ২ সেনা নিহত এবং অপর ২ সেনা আহত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায় যে, হতাহত সেনারা জাতিসংঘের গোলাম গাদ্দার মিশরীয় সামরিক ইউনিটের সদস্য। যারা মালির টিমবুকটু অঞ্চলে থেকে ডুয়েন্টেজা শহরের দিকে যাচ্ছিল। আর এসময়ই গাদ্দার সেনাদের কনভয়টি আল-কায়দা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’ এর লাগানো মাইন বিস্ফোরণের শিকার হয়েছে।
মালিতে দখলদার জাতিসংঘের বহুমাত্রিক সামরিক মিশনের মুখপাত্র অলিভিয়ের সালগাদো, মুজাহিদিন কর্তৃক পরিচালিত বরকতময় এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
এদিকে বুধবার উত্তর মালির কিদাল অঞ্চলে জাতিসংঘের কথিত শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের বহনকারী অন্য একটি কনভয় টার্গেট করেও মাইন বিস্ফোরণ ঘটান মুজাহিদগণ। এরপর সেখানে ভারী অস্ত্র-শস্ত্র দ্বারা হামলা চালান মুজাহিদগণ। যাতে বহু সংখ্যক সৈন্য নিহত এবং আহত হয়। তবে জাতিসংঘ দাবি করেছে যে, মুজাহিদদের বরকতময় উক্ত হামলায় ঘটনাস্থলেই ৪ সেনা সদস্য গুরুতর আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ সেনা সদস্য মারা যায়।
আঞ্চলিক সূত্র থেকে জানা যায় যে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বরকতময় এই হামলার শিকার হয়েছিল জর্ডানের গাদ্দার সেনারা।
এভাবেই জাতিসংঘ নামক কুফফার সংঘের অধীনে থাকা মুসলিম নামধারি গাদ্দার দেশের সেনাদেরকে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাজন। এখানে উল্লেখ্য যে, ইসলামের শত্রুদের সহায়তাকারী এসব গাদ্দার সেনাদের উপরেও কুফফার সেনাদের মতোই বিধান কার্যকর হওয়া সম্পর্কিত কুরআন-হাদিসের রায় উম্মাহকে বহু আগে থেকেই জানিয়ে আসছেন হক্কানি উলামায়ে কেরাম। আর এই রায় জানার পরেও দুনিয়ার বিনিময়ে আখিরাত বিক্রি করে দেওয়া এসব গাদ্দার সৈনিকরা সামান্য কিছু ডলারের লোভেই কুফফারদের হয়ে তাদের ভাইদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছে বলে মনে করেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ।