বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়ায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর কাছ থেকে ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। বৈদেশিক ঋণের টাকা প্রদান, দেশের বাজেটের ভারসাম্য রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য তহবিল চেয়ে আবেদন করেছে দেশের অর্থ মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি ডলার সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিলাসবহুল পণ্য, ফলমূল, নন-সিরিয়াল খাবার এবং টিনজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার আমদানিকে নিরুৎসাহিত করার একটি নীতিমালা ঘোষণা করেছে।
চলতি বছরের ২০শে জুলাই পর্যন্ত ব্যাংকটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯.৬৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে- যা দিয়ে খুব বেশি হলে আগামী পাঁচ মাসের কিছু বেশি সময়ের জন্য আমদানি খরচ মেটানো যাবে। অথচ মাত্র এক বছর আগেই দেশে রিজার্ভের পরিমাণ ছিলো ৪৫.৫ বিলিয়ন ডলার।
দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, গত জুনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স ৫ শতাংশ কমে ১.৮৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেছে করোনা মহামারীকে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গত তিন মাসে মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান কার্যকরভাবে প্রায় ২০ শতাংশ কমে গেছে। স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন দেশের আর্থিক অবস্থাকে আরও দুর্বল করে দিয়েছে, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট ১৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
ইউক্রেনে রুশ হামলার পর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ ‘সংকটে’ পড়েছে বলে জানিয়েছে জুনিয়র পরিকল্পনামন্ত্রী শামসুল আলম। “আমাদের পেমেন্টের ভারসাম্য নেতিবাচক অঞ্চলে রয়েছে। আমাদের বিনিময় হার স্থিতিশীল করতে হবে,” বলে জানায় সে।
বর্তমান এই আর্থিক দুরবস্থা কাটানোর অন্যতম একটি কৌশল হিসেবে সরকার এখন সারা দেশের দৈনিক ১-২ ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। যদিও দেশের অনেক জায়গায় প্রায় ১৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকার ঘটনাও শোনা গিয়েছে। আর এই কৌশলের অংশ হিসেবে মুসলিমদের মসজিদকে টার্গেট করেছে হিন্দুত্ববাদী ভারতের দালাল সরকার। সারা দেশের হাজার হাজার মসজিদকে বিদ্যুৎ গ্রিডের উপর চাপ কমাতে এয়ার কন্ডিশনারের ব্যবহার হ্রাস করতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অভূতপূর্ব বন্যার কারণে বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে এবং এর ফলে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইসলামি বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য পুরোপুরি ভাবে দায়ী দেশের হিন্দুত্ববাদী ভারতের দালাল সরকার। নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, পরিকল্পনাহীন কর্মপন্থা, অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন, জন্মদিন পালনের নামে অপব্যয়, দুর্নীতি, সুদি ব্যবসার প্রভাব – সবকিছু মিলিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে একেবারে খাদের কিনারায় নিয়ে গিয়েছে এই দালাল সরকার। তাই এর থেকে উত্তরণের পথ একটাই- আর তা হলো প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে হটিয়ে দেশে ইসলামি অর্থনীতি চালু করা। আর তা শুধুমাত্র সম্ভব দেশের বর্তমান শাসন ব্যবস্থাকে ইসলামী শাসন ব্যবস্থায় রূপান্তরের মাধ্যমেই-বলেছেন তাঁরা।
তথ্যসূত্র :
———
1. Bangladesh seeks $4.5bn IMF loan as forex reserves shrink: Report
– https://tinyurl.com/p25a3uhr
<>
চলতি বছরের ২০শে জুলাই পর্যন্ত (ব্যাংকটির স্থানে দেশটির হবে মনে হয় )বাংলাদেশ