চট্রগ্রামে মাত্র সাত বছরের এক মুসলিম শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে লক্ষণ দাশ নামে এক হিন্দু যুবক। ধর্ষণে নিষ্পাপ শিশুটির রক্তক্ষরণ শুরু হলে অপরাধ গোপন করার জন্য তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে এই বর্বর হিন্দু। গত ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান এলাকায় এ পাশবিক ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় লক্ষণ দাশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য আলামতের মাধ্যমেও প্রমাণ হয়েছে যে, লক্ষণ দাশই এই পাশবিক ঘটনা ঘটিয়েছে।
জানা যায়, শিশুটি নগরীর কুসুম কুমারি সিটি কর্পোরেশন স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। আর লক্ষণ দাশ একটি মুদি দোকানের কর্মচারী। লক্ষণ দাশ প্রায়ই শিশুটিকে দোকান থেকে চিপস, চকলেট দিত।
ঘটনার দিন বিকালে শিশুটি চিপস কিনতে দোকানে গেলে, লক্ষণ দাশ তাকে ১০০ টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে দোকানের গোডাউনে নিয়ে যায়। তারপর এই নিষ্পাপ শিশুটির উপর ঝাঁপিয়ে পরে এই পাষণ্ড হিন্দু।
প্রথমে শিশুটি নিজেকে বাঁচানোর জন্য চিৎকার শুরু করলে, ঐ উগ্র হিন্দু তার নাক মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। এতে শিশুটির রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এতে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মানুষরূপী ঐ জানোয়ার।
এরপর শিশুটির নিথর দেহ গোডাউনে থাকা টিসিবির সীলযুক্ত প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে দেয়ালের উপর দিয়ে পাশের ড্রেনে ফেলে দেয়। আর শিশুটির পরনে থাকা কাপড়চোপড় ও স্যান্ডেলও ঐ নর্দমায় ফেলে দেয়।
পুলিশের ভাষয়মতে, এত বড় ভয়ঙ্কর অপরাধের পরও লক্ষণ দাশের মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা দেখা যায়নি। ধর্ষণ, খুন আর লাশ গুমের মতো ভয়ানক অপরাধ করেও সে পালিয়ে যায়নি।
ইসলাম বিদ্বেষী এই সরকারের উদাসীনতায় সমাজে দিনকে দিন বেড়ে চলেছে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন। পাশাপাশি সেক্যুলার মিডিয়াও যুব সমাজ ও শিশু-কিশোরদের মাঝে বুনে দিচ্ছে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও নগ্নতার বীজ।
একদিকে প্রগতিশীল মিডিয়ার বিষবাষ্প, অন্যদিকে মানব রচিত বিধান অনুযায়ী গঠিত সরকারের উদাসীনতা ও ব্যর্থতা – এ সবই এই মুসলিম সমাজকে ঠেলে দিচ্ছে অন্ধকারে।
তথ্যসূত্র:
——
১। পাশবিক নির্যাতনে খুন শিশু বর্ষা-