গত ২৯ অক্টোবর জোড়া গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের স্বাক্ষী হয়েছে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশু। পশ্চিমাদের দূষিত পাঠ্যক্রম জনগণের উপর চাপিয়ে দেওয়া তথাকথিত “শিক্ষা মন্ত্রণালয়” উড়িয়ে দিয়েছেন বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন।
বরকতময় এই দুটি শহিদি হামলার পর একটি বিবৃতি জারি করেছে আশ-শাবাব। এতে বলা হয়, “কিছু ক্রুসেডার দেশ এবং সংস্থার সমর্থনে কাজ করে থাকে এই মন্ত্রণালয়। এরা সোমালি জাতির স্কুল পাঠ্যক্রম থেকে ইসলাম ধর্মের সাথে সম্পর্কিত সমস্ত কিছু বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা ও নাস্তিকতার বীজ রোপন করছে। আর গাদ্দার সরকারের মন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে প্রচারণা চালাচ্ছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই মন্ত্রণালয় ছাত্রদেরকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে রাখার মিশন নিয়ে কাজ করছে। এছাড়াও তারা দেশের তরুণ মেধাবীদের মধ্য থেকে বড় একটি অংশকে ধর্মত্যাগী (মুরতাদ) সরকারের মিলিশিয়াতে যোগ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।”
এদিকে পশ্চিমা সমর্থিত সরকার দাবি করেছে, এই হামলায় ১০০ এর বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে; আহত হয়েছে আরও ৩০০ এরও অধিক।
সরকারের এমন বিবৃতির বিপরীতে আশ-শাবাব জানিয়েছে যে, সরকারের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কেননা এটি সামরিক বাহিনীর দ্বারা কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টিত আবাসিক এলাকা। সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাছাড়া হামলার সময় আবাসিক এলাকাটিতে যাওয়ার রাস্তাগুলিও বন্ধ ছিল। ফলে বেসামরিক লোকদের পক্ষে সেখানে প্রবেশ করা সম্ভব ছিল না।
তাছাড়াও গাদ্দার মোগাদিশু প্রশাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকেই আশ-শাবাব প্রশাসন বেসামরিক নাগরিকদের সতর্ক করে আসছে, তারা যেন সরকারি ভবন থেকে দূরে থাকে। এর ফলে সরকারি ভবনগুলি জনগণ সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলছেন।
এদিকে দেশটির এক সামরিক কর্মকর্তা জানায়, এই হামলায় ঠিক কতজন হতাহত হয়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়, কেননা উদ্ধার কাজ এখনো চলছে। তবে দেশটির এক হাসপাতাল সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, হামলার পর থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৪০০ এরও বেশি আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
স্থানীয় একটি সূত্র মতে, নিহতদের মধ্যে মন্ত্রণায়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও দেশটির এক পুলিশ প্রধানের পাশাপাশি অনেক পুলিশ সদস্য ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে আশ-শাবাব নিয়ন্ত্রিত মসজিদে-আলী শহরের একটি উচ্চ বিদ্যালয় লক্ষ্য করে গাদ্দার তুরস্ক বোমা হামলা চালিয়েছিল। উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০০০ এর বেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশুনা করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, এরই পালটা জবাবে আশ-শাবাব পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রচারক শিক্ষা মন্ত্রণালয় উড়িয়ে দিয়েছে।