বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে দেশটির সেনাবাহিনী ও আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মাঝে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বুরকিনান সেনাবাহিনীর অন্তত ৫৩ সৈন্য নিহত হয়েছে এবং ৪০ এর বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আয-যাল্লাকা ও স্থানীয় মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট মঙ্গলবার দেশের উত্তরাঞ্চলীয় ইয়াতেঙ্গা রাজ্যের কুম্বরীতে তীব্র এই লড়াইয়ের ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযানটি বুরকিনা ফাসোর সামরিক জান্তা প্রশাসনের একটি বড় সামরিক ইউনিটকে টার্গেট করে চালানো হয়েছিল। সেনা ইউনিটটি এই অঞ্চল থেকে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিনকে (জেএনআইএম) বিতাড়িত করতে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আর এই সংবাদ পেয়েই সেনা ইউনিটকে টার্গেট করে অতর্কিত অ্যাম্বুশ করেন জেএনআইএম যোদ্ধারা। এতে বুরকিনা ফাসোর সামরিক বাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
সেনাবাহিনীর দাবি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত সোমবার জিহাদিদের সাথে তীব্র সংঘর্ষে তাদের ১৭ সৈন্য এবং ৩৬ জন সশস্ত্র মিলিশিয়া সদস্য নিহত হয়েছে।
আঞ্চলিক সূত্রগুলিও নিশ্চিত করেছে যে, তীব্র এই সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫৩ বুরকিনান সৈন্য এবং সশস্ত্র মিলিশিয়া নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৩০ এর বেশি, যাদেরকে পরে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে জব্দ হয়েছে অসংখ্য সামরিক সরঞ্জাম।
অন্যদিকে ‘জেএনআইএম’ সংশ্লিষ্ট আয-যাল্লাকা মিডিয়া নিশ্চিত করেছে যে, মুজাহিদদের পরিচালিত এই অভিযানে সামরিক জান্তা প্রশাসনের ৫০ এরও বেশি সৈন্য নিহত হয়েছে। ধ্বংস ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের ৮টি গাড়ি। একই সাথে মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করেছেন ২টি গাড়ি, ১টি 14mm রাইফেল, ২টি RPG, ৬টি পিকা, ৬০টি ক্লাশিনকোভ, ৪৭টি মোটরসাইকেল, ৯টি মর্টার, ক্লাশিনকোভ ও পিকার গোলাবারুদের ৯টি বক্স এবং ৪১৮টি গোলাবারুদ ভর্তি ক্রেট সহ অন্যান্য অসংখ্য সরঞ্জাম।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সাথে কথা বলার সময় মরক্কো-ভিত্তিক নিউ সাউথ পলিসি সেন্টারের একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক রিদা লায়ামমুরি বলেছেন, “গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সামরিক জান্তা বাহিনীর প্রধান ইব্রাহিমের নেতৃত্বে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটেছিল। এই অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে অনেক সামরিক অপারেশন চালিয়েছে জিহাদিরা, তার মধ্যে এই হামলাটি সবচেয়ে বড় ছিলো।”
আমার অবাক লাগে চিত্রাল নিয়ে কোন সংবাদ আপনাদের ওয়েব সাইটে নাই