ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রশাসনের বর্তমান কর্মকর্তারা ২০২১ সালে রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করেন। তখনই তাঁরা ঘোষণা করেন যে, প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়ে তাঁরা দেশে ইসলামি শরিয়াহ্ ভিত্তিক একটি সরকার গঠন করবেন।
সেই ধারাবাহিকতায় দেশটির পূর্বকার পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের তৈরিকৃত সংবিধানকে রহিত করে নতুন প্রশাসন। এরপর ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন হতে থাকে ইসলামি শরিয়াহ্ ভিত্তিক বিভিন্ন আইন ও হদ। তবে প্রথমদিকে কিছু জটিলতার কারণে কিসাসের বিধানগুলো বাস্তবায়নে কিছুটা গোপনীয়তা বজায় রাখে ও সময়ক্ষেপণ করে নতুন প্রশাসন। কিন্তু এই অবস্থা বেশিদিন স্থায়ী হয় নি।
সম্প্রতি ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন দেশটির গজনী ও জাউজান প্রদেশে প্রকাশ্যে ৩ ব্যাক্তির উপর কিসাসের বিধান কার্যকর করেছেন। এমনিভাবে নানগারহার প্রদেশেও এক ব্যাক্তির উপর কিসাসের বিধান কার্যকর করার নির্দেশ জারি হয়, কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে নিহতের পরিবার খুনিকে ক্ষমা করে দেয়। এই দৃশ্যে পুরো মাঠ তাকবির ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তুলেন উপস্থিত জনগণ।
ইমারাতে ইসলামিয়া কর্তৃক প্রকাশ্যে এসকল বিধান কার্যকর করায় বেজায় নাখোশ পশ্চিমারা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বার্তায় ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশান কর্তৃক এধরণের শরিয়াহ্ বিধান কার্যকর করার নিন্দা জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন নিন্দা বার্তার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ্ মুজাহিদ। তিনি বলেন, কিসাস একটি আইনি শাস্তি এবং রবের পক্ষ থেকে নির্ধারিত বিধান। তাই বিশ্বকে অবশ্যই ইসলামি মূল্যবোধ ও আইনকে সম্মান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মানবাধিকারের প্রবক্তারা আফগানিস্তানে মানবাধিকার নিয়ে মায়াকান্না করছে। অথচ গাজায় শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে, তাদেরকে শহীদ করা হচ্ছে। গাজার বর্তমান পরিস্থিতি এসব সংস্থাগুলোর দাবির হকিকত প্রকাশ করে দিয়েছে। তাদের মুখে মানবতা, নারী ও শিশুদের অধিকারের শব্দগুলো হচ্ছে শোষণের স্লোগান।