পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার কেন্দ্রীয় শহর অঞ্চলগুলোতে সামরিক অপারেশন জোরদার করেছেন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন। শুধু গত ২৬ ও ২৭ মার্চ দুটি কেন্দ্রীয় শহরে শাবাবের অভিযানে অন্তত ১১৬ সেনা সদস্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এসময় শাবাবের হাতে বন্দী হয়েছে আরও কয়েক ডজন সেনা সদস্য।
শাহাদাহ এজেন্সি সহ স্থানীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে, গত ২৬ ও ২৭ মার্চ সোমালিয়ার মাদাক রাজ্যের হারদেরি শহরে হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন ও মোগাদিশু বাহিনীর মাঝে বিরামহীন তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। শহরটি ঘিরে শাবাব মুজাহিদদের প্রথম দিনের অভিযানে অন্তত ৩০ সোমালি সেনা হতাহত হয়েছে। এসময় বেশ কিছু সেনা সদস্যকেও বন্দী করতে সক্ষম হয়েছেন মুজাহিদগণ।
পরের দিন ২৭ মার্চ তারিখেও হারদেরি শহরের উপকণ্ঠে ফারাহ-আদম শহরে মোগাদিশু বাহিনীর বিরুদ্ধে শাবাবের তীব্র যুদ্ধ অব্যাহত থাকে। এদিন শহরটিতে মোগাদিশু বাহিনী ও হারাকাতুশ শাবাবের মাঝে কয়েক ঘন্টা যাবৎ তীব্র সংঘর্ষ হয়। শহরটিতে শাবাবের বীর যোদ্ধাদের সাথে স্থলপথের যুদ্ধে সূচনীয় পরাজয় নিশ্চিত দেখে মার্কিন যুদ্ধবিমান ও তুর্কি ড্রোনের সহায়তা নেয় মোগাদিশু বাহিনী। মোগাদিশু বাহিনী ফারাহ-আদম শহরটিতে তাদের দখলদারিত্ব ধরে রাখাতে সর্বশেষ আকাশ পথের যেই সহায়তা নিয়েছিল তাও ব্যর্থ হয়। ফলে এদিন হারাকাতুশ শাবাব যোদ্ধাদের হাতে মোগাদিশু বাহিনীর আরও ৬৫ সেনা হতাহত হয় এবং অনেক সৈন্য বন্দী হয়। আর মোগাদিশু বাহিনীর অবশিষ্ট সৈন্যদেরকে শাবাব মুজাহিদগণ হারদেরি শহরের কেন্দ্র পর্যন্ত তাড়া করেন।
এমনিভাবে, ২৭ মার্চ সেন্ট্রাল শাবেলি রাজ্যেও একটি ব্যাপক আকারে সামরিক অপারেশন চালান মুজাহিদগণ। অভিযানটি এই রাজ্যে মোগাদিশু বাহিনীর দখলে থাকা “দুরুন-না’আমা” শহর মুক্ত করতে পরিচালনা করেন শাবাব মুজাহিদিন। আর বীরত্বপূর্ণ অভিযান শেষে দারুন-না’আমা শহর বিজয়ের মাধ্যমে শাবাব মুজাহিদগণ তাদের লক্ষ্য অর্জনেও সফল হন। ফলে এসময় মুজাহিদদের হাতে মোগাদিশু বাহিনীর অন্তত ২১ সৈন্য নিহত হয়। সেই সাথে আরও বহু সংখ্যক সৈন্য আহত হয় এবং অন্যরা শাবাবের হাতে বন্দী হয়। আর মোগাদিশু বাহিনীর পলায়নকারী অবশিষ্ট সৈন্যরা আল-কাউসার শহরের দিকে পালিয়ে যায়।