ক্ষমতায় আসার পর ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিক আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন ইমারতে ইসলামিয়ার তালিবান উমারাগণ। জাতিকে প্রস্তুতকরণ ও ধাপে ধাপে শারয়ী আইন কার্যকর করণের ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ৭ টি নতুন আইন অনুমোদন করেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার সর্বোচ্চ আমির শাইখুল হাদীস হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা হাফিযাহুল্লাহ। আইনসমূহ হল- অভিযোগের শুনানি ও ভিক্ষুক সংগ্রহ সম্পর্কিত আইন এবং অন্যান্য কিছু আইন।
আফগানিস্তানে পূর্ববর্তী পশ্চিমা মদদপুষ্ট সরকারের আইন ও সংবিধান ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, উপরোক্ত ৭টি আইন ছাড়াও আরো ১৬০টি আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে ইমারতে ইসলামিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এগুলোর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য সুপ্রিম কোর্ট এবং ইমারতের সুপ্রিম লিডারের নিকট প্রেরণ করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। ইমারতে ইসলামিয়ার সর্বোচ্চ আমির চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করলেই তা সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত হবে। এই আইনসমূহ অর্থ মন্ত্রণালয়, সুপ্রিম কোর্ট, বেসামরিক বিষয়াদি ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিভাগের সাথে সম্পর্কিত। বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন বিভাগের প্রধান ফজল হাদি সাহেবজাদা তথ্যসমূহ প্রদান করেন।
আইনের খসড়া প্রস্তুতকরণ ও তা সুসংগঠিত করার প্রতি ইমারতে ইসলামিয়ার সর্বোচ্চ আমির শাইখুল হাদীস হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা হাফিযাহুল্লাহ অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করে থাকেন। এ জন্য তিনি নিজ উদ্যোগেই একটি পরামর্শ পরিষদ গঠন করেছেন।
উল্লেখ্য, সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ আমিরের জারিকৃত যে কোন আদেশ বা ডিক্রি প্রশাসনিক আদেশ হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে।
আফগানিস্তানে বর্তমানে আইনের ক্ষেত্রে কোন শূন্যতা নেই বলে জানান বিচার বিষয়ক মন্ত্রী শাইখ আব্দুল হাকিম শারাই। কুরআন, সুন্নাহ ও হানাফী আইনশাস্ত্রের উপর ভিত্তি করেই ইমারতে ইসলামিয়া সরকার আইন প্রণয়ন করছে।
তথ্যসূত্র:
1. Islamic Emirate Leader Ratifies Seven New Laws
– https://tinyurl.com/47zruw62