গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ১৭ মে, শুক্রবার গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি হানাদার বাহিনীর বোমা হামলায় অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু। নিহতদের অধিকাংশই রাফাহ শহরের অধিবাসী।
শুক্রবার মধ্য গাজার বুরেজ শরণার্থী শিবির এবং দক্ষিণে রাফাহ শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
ওয়াফা প্রতিনিধির মতে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী বুরেজের শুহাদা স্কয়ারের আশেপাশের এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে, যার ফলে একজন নিহত হয়েছে এবং কয়েক আহত হয়েছে।
গাজার দক্ষিণে রাফাহর কেন্দ্রীয় অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় আরও দুইজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
আগের দিন, উত্তর গাজার জাবালিয়া শহরে একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর বেসামরিক প্রতিরক্ষা দল ছয় বেসামরিক নাগরিকের মৃতদেহ এবং বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।
ওয়াফা সংবাদদাতা জানিয়েছেন যে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের বিভিন্ন স্থানে প্রচণ্ড গোলাবর্ষণ করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আর্টিলারি উত্তর গাজার আল-তুওয়াম, সাফাতউই এবং আল-কাসাসিবের আশেপাশের এলাকাগুলো লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ গাজায়, রাফাহ-এর কুয়েত বিশেষায়িত হাসপাতালের একটি মেডিকেল সূত্র রাফাহ শহরের জারাব স্কোয়ারের কাছে হামাদ পরিবারের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আর, একটি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজা শহরের পশ্চিমে আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে তেলবানি পরিবারের একটি বাড়ি লক্ষ্যবস্তু করেছে, যার ফলে তিনজন নিহত এবং অন্য কয়েকজন আহত হয়েছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে নিহতের সংখ্যা ৩৫,৩০৩-এ পৌঁছেছে। চলোমান এই আগ্রাসনে ৭৯,২৬১ জন আহত হয়েছেন।
তথ্যসূত্র:
1. Casualties in multiple areas of Gaza as Israel’s genocide goes ahead
– https://tinyurl.com/yfdxd3xh