ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় আবিয়ান প্রদেশে আমিরাত সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীকে টার্গেট করে একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিলিশিয়া বাহিনীর অন্তত ৫০ সদস্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভাড়াটে মিলিশিয়া বাহিনী “দক্ষিণ ট্রানজিশনাল কাউন্সিল/এসটিসি” এর মুখপাত্র মোহাম্মদ আল-নকিবের বিবৃতি অনুযায়ী, গত ১৬ আগস্ট শুক্রবার সকালে ইয়েমেনের আবিয়ান প্রদেশের মুদিয়াহ জেলায় উক্ত হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাটি “নিরাপত্তা” বাহিনীর অন্তর্গত একটি ফাঁড়ি লক্ষ্য করে বোমা বোঝাই একটি গাড়ি বিস্ফোরণের মাধ্যমে চালানো হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৬ সেনা সদস্য নিহত এবং আরও ১৮ সেনা সদস্য আহত হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্র বলছে, উক্ত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩২ মিলিশিয়া সদস্য নিহত এবং ২০ এরও বেশি সদস্য আহত হয়েছে। সেই সাথে ধ্বংস হয়ে গেছে এসটিসির সামরিক ফাঁড়ি ও অনেক অস্ত্র শস্ত্র।
এদিকে আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা (একিউএপি) এই অভিযানের দায় স্বীকার করে একটি বিবৃতি এবং বিস্ফোরণের ৩টি ফুটেজ প্রকাশ করেছে। দলটি নিশ্চিত করেছে যে, একজন ইস্তেশহাদী মুজাহিদ কর্তৃক “এসটিসি” বাহিনীর ফাঁড়ি লক্ষ্য করে গাড়ি ভর্তি বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণের মাধ্যমে উক্ত হামলাটি চালানো হয়েছে। এতে মিলিশিয়া বাহিনীর অন্তত ৫০ সৈন্য হতাহত হয়েছে। আক্রমণটি ২০২২ সালের আগস্টে শুরু করা “অ্যারোস অফ ট্রুথ” অপারেশনের ধারাবাহিকতায় চালানো হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, আল-কায়েদা দীর্ঘদিন ধরে ইয়েমেনে শত্রু বাহিনীকে টার্গেট করে গেরিলা আক্রমণ, আইইডি বিস্ফোরণ সহ ঝটিকা আক্রমণ চালিয়ে আসছে। সেই সাথে চলতি বছরের শুরু থেকে নতুন করে যুক্ত হয়েছে শত্রুর গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা, যা শত্রু বাহিনীকে ভীতসন্ত্রস্ত করে তুলেছে। আর সর্বশেষ শুক্রবারের ইস্তেশহাদী হামলা; আল-কায়েদার সামরিক কৌশলের পরিবর্তন এবং তীব্রতাকেই চিহ্নিত করছে, যা “এসটিসি” এর জন্য উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। কেননা ২০২২ সালের মার্চের পর এটিই ইয়েমেনে আল-কায়েদা কর্তৃক প্রথম কোনো ইস্তেশহাদী হামলা।