ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধান বলেন: শরিয়াহ্ আইন আমাদের লাল রেখা, এই কাঠামোর উপর ভিত্তি করেই আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করি এবং বিশ্বের সাথে সম্পর্ক তৈরি করি। আর শরিয়াহ্ শাসনের বিপরীতে জাতিসংঘ সহ অন্যান্য সংস্থার বক্তব্যে নিরর্থক ও মূল্যহীন।
শাইখ মুহাম্মাদ খালিদ হানাফী (হাফি.), ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সরকারের সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধান। সম্প্রতি দেশটির সার-ই-পুল প্রদেশে অনুষ্ঠিত একটি সভায় তিনি শরিয়াহ্ আইনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
অনুষ্ঠানে এই মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় কর্মকর্তা, আলেম, উপজাতীয় প্রবীণ এবং ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মন্ত্রী সাহেব বলেন, ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান একটি ইসলামি রাষ্ট্র, যা ইসলামি শরিয়াহ্ দ্বারা শাসিত হবে এটাই কাম্য। কিন্তু এই শরিয়াহ্ আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থার দেওয়া বিবৃতি অর্থহীন এবং মূল্যহীন। ইমারাতে ইসলামিয়া সরকার শুধুমাত্র ইসলামী শরিয়াহ্ কাঠামোর মধ্যেই বিশ্বের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে এবং যোগাযোগ রাখে।
মন্ত্রী মুহাম্মাদ খালিদ হানাফী তাঁর বক্তৃতায় জোর দিয়ে বলেন, হিজাব এবং ইসলামী শরিয়াহ্ আইন বাস্তবায়ন আমাদের চুড়ান্ত সীমারেখা। আর এই বিষয়ে আমরা আল্লাহ্ তায়া’লা ব্যতিত অন্য কারো আদেশ মেনে নেই না। আর এটা জেনে রাখতে হবে যে, এই ইমারাত কখনোই শরিয়াহ্ আইনের বিরুদ্ধে কাজ করবে না। আমাদের লক্ষ্য হল ইসলামী শরিয়াহ্ ভিত্তিক একটি ব্যবস্থা।
এসময় জনাব হানাফী দেশটির বিচার বিভাগ এবং সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশ দেন, তাঁরা যেনো ইমারাতে ইসলামিয়ার সর্বোচ্চ নেতা শায়খুল হাদীস হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (হাফি.) কর্তৃক সদ্য অনুমোদিত আইনগুলো সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্থানীয় কর্মকর্তারা এবং আলেমরা মন্ত্রণালয়ের সদ্য অনুমোদিত আইনের বাস্তবায়ন, জনসাধারণের সাথে সহনশীলতার সাথে আচরণ করা এবং আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলি হস্তক্ষেপ না করার বিষয়টিকে আন্ডারলাইন করেন।
এদিকে সার-ই-পুলের উলামা কাউন্সিলের সভাপতি আব্দুল মুমিন (হাফি.) অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন, ” আমরা আফগান নারী এবং মেয়েদের সম্মান, মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় কাজ করছি। জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো আমাদের মা-বোনদের প্রতিনিধিত্ব করে না, আর তারা আমাদের বন্ধুও নয়।”
তথ্যসূত্র:
١- شيخ خالد حنفي: حجاب او شرعي حدود پلي کول زموږ سره کرښه ده، په دې برخه کې د هېچا فرمايش نه منل کېږي.
– https://tinyurl.com/23wcus84