ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তির ওপর কিসাস (অনুরূপ শাস্তি) কার্যকর করেছে। গত ১৩ নভেম্বর বিকেলে আফগানিস্তানের পাকতিয়া প্রদেশের রাজধানী গারদেশ শহরের একটি ফুটবল মাঠে হাজার হাজার জনতা, আলেম ও মুজাহিদদের উপস্থিতিতে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হুরিয়াত নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পাকতিয়া প্রদেশের গারদেশ শহরে হাজার হাজার জনতার উপস্থিতিতে ভুক্তভোগী পরিবারের একজন সদস্য খুনি মুহাম্মদ আয়াজের বুকে তিনটি গুলি করেন। মৃত্যুদণ্ডের একদিন আগে স্থানীয় প্রশাসন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনগণ ও কর্মকর্তাদের এই ঘটনায় উপস্থিত থেকে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ বাস্তবায়নের দৃশ্য দেখার আহ্বান জানিয়েছিল।
কিসাসের বিধান বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে গারদেশ শহরের মাঠে উপস্থিত ছিলেন আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খলিফা সিরাজুদ্দিন হাক্কানি হাফিযাহুল্লাহ, শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক মন্ত্রী খলিলুর রহমান হাক্কানি হাফিযাহুল্লাহ ও সুপ্রিম কোর্টের সহকারী বিচারকসহ অনেক সরকারি কর্মকর্তা।
আফগানিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এক খুনিকে প্রতিশোধমূলক শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।’ মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম মুহাম্মদ আয়াজ আসাদ। তিনি হাবিবুল্লাহ সাইফ-উল-কাতাল নামক এক ব্যক্তিকে কালাশনিকভ দিয়ে গুলি করে হত্যা করেছিল। উল্লেখ যে, তালেবান ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই এই দণ্ডিত ব্যক্তি আটক ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে এই হত্যার অভিযোগ ছিল।
আফগান বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ইমারতে ইসলামিয়ার সামরিক আদালতে এই বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে এবং একাধিকবার পর্যালোচনা করা হয়েছে। পরে আমিরুল মুমিনীন হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা হাফিযাহুল্লাহর কাছে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়।
উল্লেখ্য যে, তালেবান মুজাহিদরা ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে প্রশাসনিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তখন থেকেই তারা ঘোষণা করেছেন যে, দেশটি ইসলামি নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
তথ্যসূত্র:
1. پکتیا کې پر قاتل د قصاص الهي حکم تطبیق شو!
– https://tinyurl.com/yck26hzu