ভারতের উত্তর প্রদেশের সাম্ভাল জামে মসজিদকে ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনায় সেখানকার স্কুল ও ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২৪ নভেম্বর, রবিবার শুরু হওয়া সংঘাতে পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত চারজন মুসলিম প্রাণ হারিয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৫ জনকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ঘটনায় ৪ মুসলিমকে গুলি করে হত্যার পর আবার উল্টো ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। যার মধ্যে স্থানীয় সমাজবাদী পার্টির সংসদ সদস্য জিয়াউল রহমান বারিকও রয়েছেন। এ ছাড়া প্রভাবশালী মুসলিম নেতা ইকবাল মাহমুদের ছেলে নবাব সুহাইল ইকবালেরও নাম রয়েছে মামলায়।
২৪ নভেম্বর, রবিবার সকালে মুঘল আমলের এই জামে মসজিদে জরিপ চালাতে যায় কর্মকর্তারা। এই জরিপকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মুসল্লি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান তিনজন।
মোরাদাবাদ রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল মুনিরাজ ২৫ নভেম্বর, সোমবার সাংবাদিকদের বলেছে, ‘গতরাতে আমরা তিনজন ব্যক্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলেও, আজ মোরাদাবাদে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট চার জনের মৃত্যু হয়েছে।’
মসজিদ কমিটি জানিয়েছে, এই মামলার বিষয়ে তাদের জানানো হয়নি। একইসঙ্গে, মসজিদের জায়গায় এক সময় মন্দির ছিল এরকম দাবিকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছেন তারা। তাদের পাল্টা অভিযোগ, আদালতে মামলা দায়ের করে নতুনভাবে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি এবং শিরোনাম দখলের চেষ্টা চলছে।
তবে জিয়াউল রহমান বারিক এই ঘটনায় পুলিশকে দায়ী করে বলছেন, এই সহিংসতা আসলে একটি ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি বলেন, ‘পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হওয়া উচিত। কারণ তারা সরকারি অস্ত্র নয়, ব্যক্তিগত অস্ত্র ব্যবহার করেছেন। ’ তিনি দাবি করেন, মুসলিমদের লক্ষ্য করেই হত্যা করা হচ্ছে।
এই অবস্থায় সেখানে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সবার ক্লাসও সোমবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
তথ্যসূত্র:
1. Samajwadi Party MP Among 400 Charged For UP’s Sambhal Violence, He Blames Cops
– https://tinyurl.com/mr32r3fs