বিক্ষোভ হবে জানা ছিল। কিন্তু এভাবে বিক্ষোভের আগুন স্বতঃস্ফূর্তভাবে গোটা আসামে ছড়িয়ে যাবে তা সম্ভবত ভাবতে পারেনি সন্ত্রাসী অমিত শাহরা।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় যতক্ষণে পূর্ণ উদ্যমে নামল ততক্ষণে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে জীবন দিয়েছেন একাধিক ব্যক্তি।
আসামে সন্ত্রাসী বিজেপি সরকার ক্ষমতায়। ফলে সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে ভারতের কথিত কেন্দ্রীয় সরকার।
বিশেষ করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর রক্তপাতের আশঙ্কা ছিল গোটা উপত্যকায়। তলে তলে চিন্তায় ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ও।
কিন্তু প্রায় চার মাসের পর সেখানে কোনও নাগরিকের মৃত্য হয়নি বলে মিথ্যুক অমিত শাহ সংসদে দাবি করে, তখন বিলটি ঘিরে তুমুল আন্দোলন চলছে আসামে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, গোয়েন্দা তথ্য ছিল আসামের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বিক্ষোভ হতে পারে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার বিলটি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, ষষ্ঠ তফশিলভুক্ত এলাকাগুলোতে ওই আইন প্রযোজ্য হবে না। জনজাতিদের জমি কেড়ে নেওয়া বা সেই এলাকায় কাউকে অন্যদের বসবাস করতে দেওয়ার প্রশ্নই নেই। তা ছাড়া বাঙালি হিন্দুরা মূলত বসবাস করেন বরাক এলাকায়।
যা জনজাতিদের এলাকা থেকে অনেকটাই দূরে। তাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্থানীয় ভাবেও প্রচার চালানো হয় যে ওই আইন প্রযোজ্য হলে স্থানীয় জনজাতিদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
সূত্র: আনন্দবাজার