শাম/সিরিয়ার যুদ্ধের ময়দান অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে আরো বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। কুফ্ফার ও মুরতাদ বাহিনীর টার্গেট তারা যেকোন মূল্যে মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ প্রদেশ ইদলিব ও তার আশপাশের প্রদেশ কটির মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রিত কিছু সংখক এলাকার উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা।
অন্যদিকে বর্তমানে মুজাহিদ গ্রুপগুলোর সবচাইতে বড় লক্ষ্য হচ্ছে এই এলাকাগুলোকে রক্ষ্যা করা। কেননা এখানে বর্তমানে আশ্রয় নিয়ে আছে পুরো সিরিয়ায় বস্তুচ্যুত মজলুম মুসলিমরা। আল্লাহ নাকরুন, যদি কখনো এই এলাকাগুলো মুজাহিদদের হাত থেকে ছোটে যায়, তাহলে সেখানে আহলুস সুন্নাহর রক্ত নদী বইবে।
তাই মুজাহিদগণও তাদের সর্বাত্মক চেষ্টার মাধ্যমে কুফ্ফার ও মুরতাদ বাহিনীকে প্রতিরোধ করে যাচ্ছেন, কিছু কিছু এলাকা হতে পিছু হটতে হলেও পরবর্তিতে তা পুণরূদ্ধার করছেন মুজাহিদগণ।
এরি ধারাবাহিকতায় গত 1লা জানুয়ারি দীর্ঘ 24 ঘন্টার তীব্র লড়াইয়ের মাধ্যমে মুজাহিদ গ্রুপগুলো কুফ্ফার ও মুরতাদ বাহিনী হতে 7টি এলাকা পুণরূদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। পুণরূদ্ধারকৃত এলাকা সমূহের ৪টি হচ্ছে আলেপ্পো এবং ৩টি হচ্ছে ইদলিব সিটির। এসকল এলাকার মধ্যে ৩টি এলাকাই পুণরূদ্ধার করেন আল-কায়েদা সিরিয়ান শাখা তানযিম হুররাস আদ-দ্বীন ও তাদের নেতৃত্বাধীন “ওয়া হাররিদীল মু’মিনীন” অপারেশন রুমের মুজাহিদগণ।
এসকল এলাকাগুলোতে মুজাহিদদের সম্মিলিত হামলায় দখলদার রাশিয়ান কুফ্ফার বাহিনীর ২১ সৈন্যসহ ইরান ও আসাদের শিয়া মুরতাদ বাহিনীর 141 এরও অধিক সৈন্য নিহত হয়। আহত হয় আরো 120 এরও অধিক কুফ্ফার ও মুরতাদ সৈন্য। এসময়ের মধ্যে HTS এর মধ্য হতে 2 জন মুজাহিদ শহিদী হামলাও পরিচালনা করেন।
এছাড়াও মুজাহিদগণ ধ্বংস করেন কুফ্ফার ও মুরতাদ বাহিনীর 12টি ট্যাঙ্ক, 9টি bmb সামরিকযান ও 13 টিরও অধিক গাড়ি।
অপরদিকে মুজাহিদগণ প্রচুরপরিমাণ যুদ্ধাস্ত্র ও কতক সামরিকযান গণিমত লাভ করেন।