দরপতন চলছেই শেয়ারবাজারে

1
1132
v

মন্দাবস্থা পিছু ছাড়ছে না শেয়ারবাজারের। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সব কটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এ নিয়ে শেষ ১১ কার্যদিবসের মধ্যে ৯ কার্যদিবসেই দরপতন হলো। বিশেষ তহবিল ঘোষণার পর টাকা নিতে ব্যাংকগুলোর ধীরে চলো নীতির কারণেই বিনিয়োগকারীরা হতাশায় বিক্রি বাড়িয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। খবরঃ আমাদের সময়

বাজার বিশ্লেষণে বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরু থেকেই মূল্যসূচক দ্রুত ওঠানামা দেখা গেছে। লেনদেনের প্রথম মিনিটেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে ৫ মিনিটের মধ্যেই সূচকটি ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। এতে প্রথম ২০ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমে ১৪ পয়েন্ট। অবশ্য পরের ১০ মিনিটে আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক। বেলা ১১টায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট। এর পর আবার নিম্নমুখী হয়ে বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে সূচকটি ২০ পয়েন্ট কমে যায়। তবে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে আবার ঘুরে দাঁড়ায় সূচক। এতে দুপুর ১২টায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু এর পর টানা নিম্নমুখী হতে থাকে সূচক, যা দিনের লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৫ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৩৮৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৬২ পয়েন্টে এবং ডিএসইর শরিয়াহ ৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সারা দিনে মোট তিনবার সূচক বাড়ে আবার কমে। শেষবার পতনের পর আর উঠতে পারেনি সূচক।

দেখা গেছে, বৃহস্পতিবারে মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির দর কমেছে বেশি। এর বিপরীতে স্বল্প মূলধনী কোম্পানির দর বেড়েছে বেশি। সারা দিনই স্বল্প মূলধনী এই কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল।

মূল্যসূচকের এই পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। দিনভর বাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২১৩টির। ৩৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এদিকে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারে লেনদেন হয়েছে ৪১৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫১০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৯৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ৮৭ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৪০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬০টির দাম বেড়েছে। কমেছে ১৬২টির এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

১টি মন্তব্য

Leave a Reply to abdul aziz প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশের মানুষের বিরোধিতাকে গ্রাহ্য না করে, কসাই মোদির সফর নিশ্চিত করল ভারত
পরবর্তী নিবন্ধঢাকার বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’