০৮ ই-মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এ উপলক্ষে ফিলিস্তিন বন্দী বিষয়ক সংস্থা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে “মিডলইস্ট মনিটর “। বিবৃতিতে বলা হয়েছে দখলদর ইসরাইলের কারাগারে ৪৩ জন ফিলিস্তিনি নারী বন্দী রয়েছেন।
সংস্থাটির গবেষণা ইউনিটের প্রধান আবেদ আল-নাসের ফারওয়ানা বলেছেন যে,১৯৬৭ সালের পর থেকে দখলদার বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরাইল ১৬,০০০এরও বেশি ফিলিস্তিনি নারীকে অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের সময় ফিলিস্তিনি পুরুষদের বিরুদ্ধে যে নৃশংস পদ্ধতি অবলম্বন করে নারীদের ক্ষেত্রেও ঠিক একই ধরনের নৃশংসতা চালানো হয়।
ফিলিস্তিনি নারীদের গ্রেফতারের পর নির্যাতন ও গ্রেফতারের বিষয়টি আড়াল করার জন্য তাদের পুরুষদেরকেও গ্রেফতার ও নির্যাতনের অনেক প্রমাণ রয়েছে।
ফারওয়ানা আরও উল্লেখ করেন, ইসরাইলি কারাগারে নারীদেরকে অশালীন জিজ্ঞাসাবাদ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, সম্ভ্রমহানির মতো নানাবিধ জঘন্যতম নির্যাতন করা হয় , এমনকি তাদের সকল প্রকার চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
১৪ ই অক্টোবর ১৯৬৭সালে গ্রেপ্তার হওয়া “ফাতেমা ভিরনাউই” হলেন প্রথম ফিলিস্তিনি মহিলা। তাকে দখলদার বাহিনী মিথ্যা বোমা হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল ।
সংস্থাটির রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৯ সালে দখলদার ইসরাইলি সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক ১২৮ ফিলিস্তিনি নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ২০২০ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২৯ জন ফিলিস্তিনি নারীকে গ্রেপ্তার করা হয় ।তাদের মধ্যে ১৬জন মহিলার শিশু বাচ্চা রয়েছে।
ইসরাইলের কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দীরত ফিলিস্তিনি মহিলা “আমাল”। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল পরে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় ।
“হানা শালাবি” ফিলিস্তিনি মহিলা বন্দীদশা থেকে মুক্তির জন্য দীর্ঘদিন অনশন ধর্মঘট করেছিলেন।পরে তাকে গাজা থেকে ৪৪দিনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল।
প্রতিবছর ৮ ই-মার্চ বিশ্ব নারী দিবসে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো নারী স্বাধীনতা ও নারী উন্নয়নের কথা বলে অথচ ফিলিস্তিনি নারীদের যারা সন্ত্রাসবাদী ইসরাইলের জেলে অকথ্য নির্যাতন ও গ্রেফতার হচ্ছে, তাদের ব্যাপারে একটি কথাও বলেনা।
সংস্থাটি ইস্রায়েলের কারাগারে ফিলিস্তিনি নারীদের বাঁচাতে, তাদের দুর্দশা লাঘব ও তাদের স্বাধীনতার জন্য আরও বেশি প্রচেষ্টা চালাতে, নারীদের সাথে সম্পর্কিত সমস্ত মানবাধিকার সংস্থাগুলিকে আহ্বান জানিয়েছে।