বহুল আলোচিত সন্ত্রাসী যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার ৫ কোটি ১০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। অটো গ্যারেজের মালিকের মেয়ে। এক সময় তাদের তেমন কিছুই ছিল না। কিন্তু গত ৫ বছরে অর্থ বিত্ত অর্জন করে আগুল ফুলে কলা গাছ হয়ে গেছেন।
গাড়ি, বাড়ি, ফ্ল্যাট কিনে বনেছেন শত কোটি টাকার মালিক। দেশে গাড়ির ব্যবসার পাশাপাশি বিদেশে দিয়েছেন বার। আর সবই করেছেন অন্যায় ও অপকর্মের উপর ভর করে।
ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের ব্ল্যাকমেইল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও দেহ ব্যবসাই তাদের মূল পেশা।
বিডি প্রতিদিন সূত্র জানায়, মামলার এজাহার প্রায় প্রস্তুত। এজাহারে ৫ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬১ টাকা লন্ডারিংয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাপিয়া রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ৪ মাস ১০ দিন অবস্থান করেন। গত বছর ১২ অক্টোবর থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই অভিজাত হোটেলে তার নামে বরাদ্দ কক্ষের সংখ্যা ছিল ২৬টি। তিনি হোটেল বিলই দেন ৩ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকা। এছাড়া ঢাকায় কার এক্সচেঞ্জ শোরুমে তার বিনিয়োগের পরিমাণ এক কোটি টাকা, কেএমসি এন্টারপ্রাইজ ও কেএমসি কার ওয়াশ অ্যান্ড সলিউশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন ২০ লাখ টাকা। এছাড়া রাজধানীর ইন্দিরা রোডের একটি ফ্ল্যাটে বছরে ৬ লাখ টাকা ভাড়া পরিশোধ করেছেন এবং পাপিয়ার কাছে নগদ ৬০ লাখ টাকাও পাওয়া যায়।
এর বাইরে এজাহারে পাপিয়ার দুটি সঞ্চয়ী, দুটি চলতি হিসাব এবং তিনটি স্থায়ী আমানতের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। এতে অর্থের পরিমাণ কয়েক লাখ টাকা। এসবই এজাহারে উল্লেখ করা হচ্ছে। পাপিয়া দম্পতির বৈধ কোনো আয় না থাকলেও তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ অর্জন করেছেন।
তবে তাদের অবৈধ আয়ের একটি বড় অংশ বিদেশে পাচার করেছেন। তবে ঠিক কি পরিমাণ অর্থ তারা দেশের বাইরে পাচার করেছেন তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। এজাহারে তাদের যেসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে তাও উল্লেখ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
তার কাছে থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২০টি পিস্তলের গুলি, ৫ বোতল দামি বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেকবই, বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড পাওয়া যায়।