দুই লাখ কওমি শিক্ষকদের নিয়ে ভাববার কেউ আছে কি?

    1
    1430
    দুই লাখ কওমি শিক্ষকদের নিয়ে ভাববার কেউ আছে কি?

    করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে আমরা খুবই নাজুক সময় পার করছি। চোখে না দেখা করোনাভাইরাসের সামনে গোটা পৃথিবী আজ অসহায়। এক দিকে মানুষ গণহারে মৃত্যু বরণ করছে। অপর দিকে ঘনীভূত হচ্ছে অর্থনৈতিক সংকট। অন্য সব সেক্টরের মত কওমি মাদরাসাগুলোও এই সংকট থেকে মুক্ত নয়।
    লকডাউনের সময়কাল এখনো শেষ হয়নি। অথচ, এরই মধ্যে বিভিন্ন মাদরাসা থেকে অর্থ সংকটের কথা সামনে আসছে। শিক্ষকদের বেতন হচ্ছে না, মাদরাসায় বাড়ি ভাড়া দেয়া যাচ্ছে না। মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন এমনিতেই কম, তাও যদি না পায় তাহলে কীভাবে চলবে তাঁদের?
    এখন সারাবিশ্বে একটা ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে, সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এমনিতেই মাদরাসাগুলো শাবানের ১৫ তারিখের পর বন্ধ ঘোষণা করা হতো। কিন্তু এবার করোনার কারণে কোনো পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। অনেকটা তড়িঘড়ি করে মাদরাসাগুলো বন্ধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে বাধ্য করা হয়েছে। পরে আবার বন্ধের মেয়াদ বাড়িয়েছে। সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। আপাতত রমজানের আগে আর খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই। এখন দুই লাখ মাদরাসা শিক্ষকের কী হবে? দুই লাখ মাদরাসা শিক্ষদের খোঁজ খবর নেওয়ার মত কেউ আছে কি?
    দেশের মাদরাসাগুলোর একাডেমিক বছর শুরু হয় শাওয়াল থেকে, শেষ হয় শাবান মাসে। তারপর রমজানের জন্য একমাস বন্ধ হয়। এই সময়ে পুরো বছরের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার একটা ব্যাপার থাকে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বেতন পরিশোধ করে দেয়। যারা পারে না, তারা কিছু দেয় কিছু বাকি থাকে। এখন যে দুইমাস আগে মাদরাসা বন্ধ হয়ে গেল, এই অবস্থায় বাংলাদেশের দুই লক্ষাধিক কওমি উস্তাদের কী হবে? এই অবস্থায় যে প্রশ্নগুলো স্বাভাবিকভাবে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠানো হয়েছে, তা হলো-
    ১. তাঁরা কি রজব এবং শাবান মাসের বেতন পাবেন?
    ২. যাদের কয়েক মাসের বেতন বাকি, তাঁদের কী অবস্থা?
    ৩. এ বিষয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কি কোনো চিন্তা-ভাবনা আছে?
    ৪. মাদরাসাগুলোরও কি সেই সামর্থ্য আছে? যদি না থাকে, তাহলে তাদের কী করা উচিত?
    ৫. এ ব্যাপারে আমাদের বোর্ডগুলোর কি কোনো মাথাব্যথা আছে, কিংবা কোনো দিক-নির্দেশনা?
    ৬. এমন ঘোরতর দুর্দিনে এই দুই লক্ষাধিক উস্তাদ যদি তাদের বেতন না পান, তাহলে তাদের পরিবার চলবে কী দিয়ে?
    ৭. কওমি মাদরাসা শিক্ষার যেহেতু এখন সরকারী স্বীকৃতি হয়েছে, তাই এক্ষেত্রে সরকারী প্রতিষ্ঠানের মতো বন্ধ থাকাকালীন সময়েও বেতন পাবেন কিনা? সরকার তো কারণে-অকারণে কত জায়গায় লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করছে, মাদরাসার শিক্ষকদের ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা রাখবে কি না?

    ১টি মন্তব্য

    1. অনেক দুঃখ অমানিশার অন্ধকারে হারিয়ে যায়,
      অনেক কষ্ট বুকে পাথর দিয়ে চেপে রাখতে হয়;
      কিন্তু তাতে কোনো সমস্যা হয়না,এই কওমি শিক্ষকদের, তবে যদি পরিবারের একমুঠো চাল জোগাড় করতে না পারে তখন আর নিজেকে সামলানো যায় না।
      جزاك اللهএই দুরাবস্থার সান্ত্বনার জন্য।

    Leave a Reply to মিজানুর রহমান প্রতিউত্তর বাতিল করুন

    দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
    দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

    পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার সাথে আইইডিসিআরের তথ্যের মিল নেই’
    পরবর্তী নিবন্ধহাতে কাজ নেই, কেউ তো খাবার দেয়না, আমরা খাব কী?