একদিকে করোনা আতঙ্ক, অন্যদিকে বকেয়া বেতনের প্রতীক্ষা। এ অবস্থায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা রয়েছেন বিপাকে, আর তাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন সারাদেশ। ঢাকার সাভার ও আশুলিয়ার বেশ কিছু গার্মেন্টে পরিশোধ হয়নি শ্রমিকদের পাওনা। ২২ এপ্রিল প্রতিশ্রুত তারিখে তা পরিশোধ না হলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কালের কণ্ঠের সূত্রে জানা যায়, সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ও ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে গত ১২ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। তাদের একত্রিত অবস্থান করোনা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে কয়েকগুন। বেতন বঞ্চিত শ্রমিকরা বাধ্য হয়েই বারবার রাস্তায় নামছেন বলে দাবি শ্রমিক নেতাদের। এ ধরণের পরিস্থিতি এড়াতে শ্রমিকদের পাওনা প্রতিশ্রুত সময়ে দিয়ে দিতে বলছেন তারা।
শ্রমিকরা জানান, চলতি মাসের প্রথম দিকে বেতন দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন তারিখ দিয়েও টালবাহানা করছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। একবার বলছেন বিকাশের মাধ্যমে দেব, আবার বলছেন হাতে হাতে দিয়ে দেব। কিন্তু কোনোভাবেই বেতন দিচ্ছেন না। আন্দোলনের মুখে কয়েকটি কারখানায় বেতন হয়েছে। অনেকেই দিয়েছেন আংশিক। আবার কেউ কেউ কিছুই পরিশোধ করেননি। এসব কারখানার শ্রমিকরা খুবই অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছেন।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, ‘বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা বেতন ও বকেয়া পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ করতে বাধ্য হচ্ছেন। কারখানার সামনে এসে বিক্ষোভ করে দাবি জানানোর ভেতর দিয়ে তাঁরা আরো বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। কেন বেতন ও বকেয়া পরিশোধের নির্দেশনা মানা হচ্ছেনা, তা রহস্যজনক।’
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন,‘করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে শ্রমিকদের ঘরে রাখতে হবে। আর সেজন্য তাদের বেতন যথাসময়ে দেয়াটা জরুরি। এখন পর্যন্ত যেসব কারখানায় শ্রমিকরা বেতন পেয়েছেন সেখানে একটা শ্রমিকও রাস্তায় নামেননি।’