নব লক্ষী দেব বর্মা (৯২) সাংবাদিকদের দেখে প্রথমে মনে করেছিলেন ত্রাণের লিস্ট করতে তারা এসেছে। ঘর থেকে বেড়িয়ে নব লক্ষী মুখে হাসি দিয়ে নিজের নামটি ত্রাণের লিস্টে তুলার জন্য অনুরোধ করছেন। বলা হল আমরা সাংবাদিক। সাংবাদিক পেয়ে তার দুঃখের শেষ নেই। তিনি বলেন, ১০ কেজি ত্রাণের চাল দিয়ে কয়দিন চলা যায়। এক মাস হয়ে গেল বাড়ির লোকজন কাজে বের হতে পাড়ছে না। এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বরারা এসে খবর নিচ্ছে না।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ত্রিপুরা পল্লী ঘুরে দেখা গেছে, এখানে ২২ টি পরিবারে প্রায় দেড়’শ লোক বসবাস করে। সাথে এই পল্লীতে চা শ্রমিক পরিবার আছে ৫ টি। সব মিলিয়ে এখানে ২০০ মানুষের বসবাস। এখানে শিশু খাদ্যসহ খাদ্য সংকট প্রকট। কালের কন্ঠের রিপোর্ট
নব লক্ষী বলেন, গত বছর বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে সাতছড়ি ত্রিপুরা পল্লীর ব্যাপক পাহাড় ধসের সময় স্থানীয় প্রশাসন জরুরী ভিত্তিতে বাঁশের পাইলিং ও বস্তা দিয়ে সাময়িক মেরামত করে। দিন দিন পাহাড়ের ভাঙ্গন টিপরা পল্লীর বসত ঘরের নিকট চলে এসেছে। এ বছর পাহাড় ধস থেকে রক্ষা করতে না পাড়লে পল্লী পাহাড়ি চড়ায় বিলিন হয়ে যাবে।