গত ২২ এপ্রিল আল-জাজিরার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলের একটি কারাগারে ২৩ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি মারা যান।
ফিলিস্তিনি প্রিজনার’স সোসাইটির (পিপিএস) মতে ইসরায়েলের নাকাব কারাগারের বন্দী থাকা নূর আল-বারগুতি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। ইসরায়েল প্রিজন সার্ভিস (পিপিএস) দাবী করেছে যে অন্যান্য ফিলিস্তিনি বন্দীদের দ্বারা সৃষ্ট মৌখিক গোলযোগের পরে আল-বারগুতি মারা যান।
পিপিএস বলেছেন, ইসরাইলের কারা ব্যবস্থাপনা তার মৃত্যুর জন্য পুরোপুরি দায়ী। কারা কর্তৃপক্ষ বারগুতির জীবন বাঁচাতে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তারা ইচ্ছাকৃত বিলম্ব করেছে, ফলে তাকে হাসপাতালে সময়মতো নেওয়া হয়নি। এই বিলম্বই ইঙ্গিত করে যে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষক আবারও “ধীর মৃত্যুর নীতি” প্রয়োগ করেছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে, ৮ বছরের কারাদণ্ডের ৪ বছর অতিবাহিত হওয়া আল-বারগুতিকে মঙ্গলবার রাতে তার কক্ষে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।
আল-বারগুতির মৃত্যুর ফলে ১৯৬৭ সালের পর থেকে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী অবস্থায় ফিলিস্তিনি মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২২৩ এ পৌঁছে। ইতোপূর্বে বিশ্ব সন্ত্রাসীদের ক্রীড়নক ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ বন্দী অবস্থায় মারা যাওয়া পাঁচ বন্দীর মরদেহ ফিলিস্তিনিদের কাছে দিতে অস্বীকার করেছিল।তাদের মধ্যে ১৯৮০ সালে ইসরায়েলের অ্যাশেলন কারাগারে আনিস দাওলা নামে একজন মারা যান। ২০১৮ সালে আজিজ ওবাইসাত এবং গতবছর ফারিস বারউদ, নসরত তাকাতাকা ও বাসসাম আল-সায়েহ প্রমুখ ব্যক্তিরা মারা যান।