গতকাল ৩০ মে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাস বা জেরুজালেমে আইয়াদ হাল্লাক নামে এক ফিলিস্তিনি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন স্কুলে যাওয়ার সময় গুলি করে শহীদ করা হয়েছে। অস্ত্র বহনকারী সন্দেহে তাকে গুলি করা হলেও পরে জানা গেছে তার সঙ্গে কোন অস্ত্র ছিল না।
খবর মিডলইস্ট মনিটর।
গত সপ্তাহে জেরুজালেমে ইসরাইলি গাড়িতে হামলা করতে পারে এ সন্ধেহে এক ফিলিস্তিনি যুবকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটার এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের ঘটানা ঘটায় বিশ্ব সন্ত্রাসীদের ক্রীড়নক ইসরাইল।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল থার্টিন নিউজ বলেছে, নিহত ব্যক্তি নিরস্ত্র ছিলেন এবং তার হয়তো মানসিক সমস্যা থাকতে পারে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, নিরস্ত্র অবস্থায় পাওয়া এই ব্যক্তিকে ধাওয়া করার সময় ভয় পেয়ে দৌড়ে পালাতে থাকার সময় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিলো।
ইসরাইলি পুলিশের মুখপাত্র মিকি রোজেনফেল্ড জানিয়েছেন,শনিবার সকালে পূর্ব জেরুজালেমে এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, পুলিশের টহল ইউনিট এক ব্যক্তির হাতে পিস্তলের মতো বস্তু থাকার সন্দেহ করে ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে ওই ব্যক্তি দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শহীদের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।বার্তা সংস্থা “DOAM” এর প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায় আয়াদ হাল্লাকের মা পুত্র শোকে কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন,কোন অপরাধে তারা আমার শান্ত ছেলেকে হত্যা করলো। এ সময় শোকে তার হাত-পা কাঁপছিলো।
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ঠুনকো অজুহাতে একজন ফিলিস্তিনি ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা দখলদার ইসরাইলের হিংসাত্মক ও বর্বর মানসিকতার প্রতিফলন ঘটায়।”
সত্যিকার অর্থে এই অপরাধগুলি মুসলিম বিশ্বকে জিহাদি প্রেরণায় উজ্জীবিত করবে, যা কেবলমাত্র শুধু ফিলিস্তিন নয় গোটা বিশ্বকে অন্যায় জুলুম থেকে মুক্ত করবে।