প্রায় ২৫ হাজার ভারতীয়কে ভারত দখলকৃত কাশ্মীরে নাগরিকত্ব সনদ দিয়েছে দিয়েছে দেশটির সরকার। এর মাধ্যমে বিজেপি সরকার কাশ্মীরে জনসংখ্যার বিন্যাস পরিবর্তনের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলো।
এই নাগরিকত্ব সনদের ফলে এখন থেকে সেখানে অ-কাশ্মীরিরা স্থায়ী বসতি গড়তে পারবে এবং সরকারি চাকরির সুযোগ পাবে।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সরকারের এই পদক্ষেপে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে কাশ্মীরের জনগণ। তাদের অভিযোগ, নতুন এই আইনকে হাতিয়ার করে দেশের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যের জনসংখ্যার বিন্যাস বদলানোর ছক করছে বিজেপি সরকার।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ৩৫এ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের রাজ্য ও স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি সরকার। বাতিল করা হয় কাশ্মীরের নাগরিকত্ব সুরক্ষা আইনও। এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের নিজস্ব সংবিধান ছিল। সেই সংবিধান অনুযায়ী, বাইরের রাজ্যের কেউ ভূস্বর্গের স্থায়ী নাগরিক হতে পারতেন না। জমি, স্থাবর সম্পত্তির মালিকও হতে পারতেন না।
তবে এখন থেকে ভারতীয়রা কাশ্মীরের নাগরিকত্বের জন্য তহশিলদারের কাছে আবেদন করতে পারবেন। শর্ত পূরণ করলে যে কাউকে এই সনদ দিতে কোনো কর্মকর্তা অকারণে দেরি করলে তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।