সরকারি জোরে বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

1
741
সরকারি জোরে বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

পাবনার বেড়া উপজেলার যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও তীররক্ষা বাঁধ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে এবারের বর্ষা মৌসুমে রূপপুর ইউনিয়নের ঘোপসিলেন্দা গ্রামে যমুনার ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এ ছাড়া উপজেলার চরপেঁচাকোলা, মোহনগঞ্জ, দক্ষিণ চরপেঁচাকোলা, চরনাকালিয়াসহ কয়েকটি গ্রামও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বালু তোলার ফলে ২০১৭ সালে পেঁচাকোলা গ্রামে যমুনা নদীর তীররক্ষা বাঁধের ৫০ মিটারেরও বেশি অংশ ধ্বসে পড়ে। হুমকির মুখে পড়ে জেলা বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ। পরে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তড়িঘড়ি করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে ধসে যাওয়া অংশ মেরামত করে। এবারের বর্ষা মৌসুমেও পেঁচাকোলা এলাকার তীররক্ষা বাঁধে ধস ও ফাটল দেখা দিয়েছে।

পাউবোর বেড়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হামিদ বলেন, যমুনা নদীর যেসব এলাকা থেকে বালু তোলা হচ্ছে তার কাছেই রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও তীররক্ষা বাঁধ।

অবৈধ বালু তোলার কারণে গুরুত্বপূর্ণ ওই দুটি স্থাপনা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ বিষয় আমরা প্রশাসন বরাবর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। আর যমুনার ওই এলাকায় কোনোভাবেই বালুমহাল করা যাবে না বলে সপ্তাহখানেক আগে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন দিয়েছি।

সরেজমিন দেখা যায়, বেড়া উপজেলার মোহনগঞ্জ থেকে ঢালারচর পর্যন্ত যমুনা নদীর প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশ থেকে অবাধে বালু তোলা হচ্ছে। প্রতিদিন দুই শতাধিক নৌযানে খননযন্ত্র (ড্রেজার) বসিয়ে বালু তোলা হয়। অথচ এ এলাকায় বালু তোলার জন্য কোনো বালুমহাল নেই। উপজেলার পায়না, মোহনগঞ্জ, পেঁচাকোলা, নাকালিয়া, কৈতলা, রাকশা, নগরবাড়ী, কাজীরহাটসহ বিভিন্ন এলাকার অর্ধশতাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি বালু তোলার সঙ্গে জড়িত। আমাদের সময়

অবৈধ বালু তোলা বন্ধের দাবিতে গত এক বছরে বেশ কয়েকবার দক্ষিণ চরপেঁচাকোলা ও চরনাকালিয়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। নাকালিয়া বাজারে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ কর্মসূচিসহ বালু তোলার ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তার পরও অবৈধ বালু তোলা বন্ধ হয়নি।

মালদাপাড়া গ্রামের ওয়াদুদ সরকার, গোলজার মল্লিকসহ চার-পাঁচ কৃষক জানান, অবৈধ বালু তোলার কারণে এমনিতেই নদীভাঙনের ভয় রয়েছে। এর ওপর এবার তাদের ডুবে থাকা ফসলি জমি থেকে খননযন্ত্রের (ড্রেজার) মাধ্যমে বালু ও মাটি তোলা হচ্ছে।

১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনা সংক্রমণে ক্রমে ভারত এখন তৃতীয়
পরবর্তী নিবন্ধবেশিরভাগ প্রকল্পে দ্বিগুণ সময় বাড়িয়েও অগ্রগতি মাত্র ২৬ শতাংশ : খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ