মুরতাদ কাবুল সরকারের কুন্দুজের প্রাদেশিক কাউন্সিলর সদস্যরা জানিয়েছে, গত ১৯-২০ জুলাই মধ্যরাতে কুন্দুজ প্রদেশের কয়েকটি পৃথক এলাকায় বড়ধরনের হামলা চালিয়েছে তালেবান মুজাহিদিন। তালেবান যোদ্ধাদের এসকল হামলায় তাদের বেশ কিছু সেনা সদস্য নিহত ও আহত হয়েছে।
“আযম” মিডিয়াতে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে মুরতাদ সরকারের প্রাদেশিক কাউন্সিলর জানিয়েছে যে, কুন্দুজের বারিদোনু অঞ্চলে সরকারি সৈন্যদের উপর ঐরাতে ভারী যুদ্ধাস্ত্র দ্বারা হামলা চালিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। এতে কাবুল সরকারি বাহিনীর ১৩ সৈন্য নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ সেনা সদস্য।
প্রাদেশিক গভর্নরের এক মুখপাত্র ইসমাতুল্লাহ মুরাদী স্বীকার করেছে যে, কুন্দুজের আলিয়াবাদ জেলার শিনওয়ারী ও কাজলুক এলাকায় গত রাতে তালেবান মুজাহিদদের পরিচালিত হামলায় মুরতাদ কাবুল সরকারি বাহিনীর ৮ সেনা মারা গিয়েছিল এবং আরো ৫ সেনা আহত হয়েছে।
এমনিভাবে গতরাতে প্রাদেশিক রাজধানীর “আরওয়ান্দ শিনওয়ারি” এলাকায় একটি চৌকিতে হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস দিয়েছেন তালেবান মুজাহিদিন। তালেবান তাদের দায় স্বীকারকৃত টুইট বার্তায় জানিয়েছে, উক্ত চৌকিতে থাকা মুরতাদ কাবুল সরকারি বাহিনীর ১৫ সেনা ও পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছেন তাঁরা। ধ্বংস করেছেন মুরতাদ বাহিনীর ১টি ট্যাঙ্ক।
তালেবান একই রাতে আলিয়াবাদ জেলার “কুচা কাজাক” এলাকায় মুরতাদ বাহিনীর একটি কাফেলার উপর হামলার দায় স্বীকারও করেছে।তালেবান মুখপাত্র মুহতারাম জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এই হামলার দায় স্বীকার করে বলেছেন, তালেবান মুজাহিদদের উক্ত হামলায় মুরতাদ কাবুল সরকারি বাহিনীর ৬টি ট্যাঙ্ক ও সামরিকযান ধ্বংস হয়েছে, মুজাহিদদের হাতে নিহত হয়েছে ৮ সেনা এবং আহত হয়েছে আরো ৫ সেনা সদস্য।
আরহামদুলিল্লাহ,,,,আল্লাহর সৈনিকরা শয়তানের বাহিনীর পাওনা বুঝিয়ে দিচ্ছে।