নারায়ণগঞ্জের ৭ থানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ অন্তত ২ লাখ। এসবের কারণেই মূল লাইনে তৈরি হচ্ছে লিকেজ। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করা ও ত্রুটি মেরামতে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে তিতাসের মাঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। আর এই পুরো ঘটনাই জানা আছে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর।
নারায়ণগঞ্জের যে মসজিদে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেখান থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে লাকি বাজার মোড়ের তিন জায়গায় ২৪ ঘণ্টা গ্যাস লিক হচ্ছে ৩ বছর ধরে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ নিয়ে বেশ কয়েকবার তিতাসে অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি।
এদিকে গত কয়েক বছরে নারায়ণগঞ্জ সদর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁ এলাকায় ইচ্ছেমতো অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়েছে অনেকে। অভিযোগ আছে, তিতাসের এক শ্রেণির কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশেই দেয়া হয়েছে এসব সংযোগ। আর এসব অবৈধ সংযোগ তিতাসের মূললাইন থেকে টানা হয়েছে নিম্নমানের পাইপে।
আর তিতাসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অভিযোগ, অবৈধ সংযোগে তিতাস কর্মচারীদের চেয়ে বেশি দায়ী স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা। অবৈধ লাইন বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে নানা সময়ে স্থানীদের হামলার মুখেও পড়তে হয়েছে তাদের। তবে আগামী ৩ মাসের মধ্যে সব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নে কথাও জানিয়েছেন তিতাসের এমডি আলী মো. আল-মামুন। দৈনিক সংগ্রাম