নওগাঁর বদলগাছীতে অপহরণকারীরা মুক্তিপণের ১৫ লাখ টাকা না পেয়ে এক কিশোরকে হত্যা করেছে। আজ বুধবার সকালে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বেগুনবাড়ি মাঠের একটি ডোবা থেকে তার বস্তাবন্দী অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই কিশোরের নাম নাজমুল হোসেন (১৪)। সে বদলগাছী উপজেলার খাদাইল গ্রামের আলামীনের ছেলে। নাজমুল খাদাইল উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে কল করে নাজমুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন শনিবার সকালে মুঠোফোনে নাজমুলের পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। আজ সকালে তার বস্তাবন্দী অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
নাজমুলদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, নাজমুলের মৃত্যুর খবর শুনে বাড়িতে লোকজন ভিড় করছে। নাজমুলের মা নাজমা খাতুন বিলাপ করছিলেন। বিলাপ করে তিনি বলছিলেন, ‘তোরা আমার বুকের ধনকে কেন মারে ফেললু। হামি এখন কীভাবে বাঁচমু।’
নাজমুলের বাবা আলামীন বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার ছেলেকে মুঠোফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নেওয়া হয়। সে শুক্রবার রাতে আর বাড়িতে ফেরেনি। পরের দিন শনিবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে অপরিচিত একটি মুঠোফোন থেকে আমার বড় ছেলে মেহেদী হাসানের মুঠোফোনে কল আসে। নাজমুলের মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ টাকা চাওয়া হয়। এরপর আমরা মুঠোফোনে কলের অপেক্ষায় ছিলাম। অপহরণকারীরা আর আমাদের কাছে ফোন করেনি। এ ঘটনায় শনিবার বদলগাছী থানায় একটি মামলা করেছিলাম।’
নাজমুলের বাবা আরও বলেন, আজ বুধবার সকালে আক্কেলপুর বেগুনবাড়ি গ্রামের ফসলি মাঠের রেললাইনসংলগ্ন একটি ডোবায় একটি বস্তাবন্দী অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে লাশটি নাজমুলের বলে শনাক্ত করা হয়।
নাজমুলের বড় ভাই মেহেদী হাসানের অভিযোগ, মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে তাঁর ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। প্রথম আলো