ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দেয়ায় মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মোহাম্মদ জোনায়েদ ওরফে জুনায়েদ বাবুনগরী ও সৈয়দ ফয়জুল করিমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়েছে।
দেশের স্বনামধন্য ও শীর্ষস্থানীয় এসব আলেমে দ্বীনের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা অনতিবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে এ মামলাটি করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআই ডিআইজিকে আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আজ সোমবার দু’টি মামলার আবেদন করা হয়।
মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী, সৈয়দ ফয়জুল করিম এবং মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
মামলার আসামি মামুনুল হক গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ ভবনের মিলনায়তনে বলেছিলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন করে তারা বঙ্গবন্ধুর সুসন্তান হতে পারে না। এই মূর্তি স্থাপন বন্ধ করুন। যদি আমাদের আবেদন মানা না হয়, আবারও তৌহিদী জনতা নিয়ে শাপলা চত্বর কায়েম হবে।’
একইদিন আসামি সৈয়দ ফয়জুল করীম ধোলাইখালের নিকটে গেন্ডারিয়া নামক স্থানে তার নসিহত শুনতে আসা সাধারণ মুসলমানদের হাত উঁচু করে শপথ পড়িয়ে নেন যে, ‘আন্দোলন করব, সংগ্রাম করব, জেহাদ করব। রক্ত দিতে চাই না, দেয়া শুরু করলে বন্ধ করব না। রাশিয়ার লেলিনের বাহাত্তর ফুট মূর্তি যদি ক্রেন দিয়ে তুলে সাগরে নিক্ষেপ করতে পারে তাহলে আমি মনে করি শেখ সাহেবের এই মূর্তি আজ হোক, কাল হোক খুলে বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ করবে।’
মোহাম্মদ জোনায়েদ ওরফে জুনায়েদ বাবুনগরী হাটহাজারীতে বলেন, ‘মদিনা সনদে যদি দেশ চলে তাহলে কোনো ভাস্কর্য থাকতে পারে না।’
তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘ভাস্কর্য নির্মাণ পরিকল্পনা থেকে সরে না দাঁড়ালে আরেকটি শাপলা চত্বরের ঘটনা ঘটবে এবং ওই ভাস্কর্য ছুড়ে ফেলা হবে।’
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বর বিএমএ মিলনায়তনে বাংলাদেশ যুব খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগর শাখার সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে মামুনুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গড়তে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে লাশের পর লাশ পড়বে। আবার শাপলা চত্ত্বর হবে।’ সমাবেশে যুব মজলিসের কর্মীদের এ জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন।
বাদী অভিযোগ করেন, মামুনুল হকের বক্তব্যের পর একটি শ্রেণি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে একের পর এক বক্তব্য দিচ্ছে।
কোনরূপ প্রকাশ্যে মুরতাদ সরকারের বিরোধিতা করে তার মূলউৎপাটক করা শুধু স্বপ্ন ই মনে হচ্ছে। তাই আসুন গোপনে প্রস্তুতি গ্রহণ করি ও তাদের জোড়ায় জোড়ায় আঘাত করি। আল্লাহই তাওফিক দাতা এবং সাহায্যকারী।
কোনরূপ প্রস্তুতি ছাড়া প্রকাশ্যে মুরতাদ সরকারের বিরোধিতা করে তার মূলউৎপাটক করা শুধু স্বপ্ন ই মনে হচ্ছে। তাই আসুন গোপনে প্রস্তুতি গ্রহণ করি ও তাদের জোড়ায় জোড়ায় আঘাত করি। আল্লাহই তাওফিক দাতা এবং সাহায্যকারী।
হে আল্লাহ তুমি আমাদের কে তাগুত শাসক দের বিরুদ্ধে জিহাদ করার তৌফিক দান করুন