মধ্যযুগে যেটা ছিল ‘ধ্রুব স্তম্ভ’ ইসলামিক যুগে সেটাই নাকি হয়ে যায় কুতুব মিনার। এখন নতুন করে এমনই দাবি উঠছে। কুতুব মিনার ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’-এর অন্তর্গত। ইটের তৈরি মিনারের মধ্যে এটিই বিশ্বের দীর্ঘতম মিনার। দৈর্ঘ্য ৭২.৫ মিটার। এখানে রয়েছে ৩৭৯টি ঘোরানো সিঁড়ি। কুতুব মিনার বিখ্যাত ইসলামিক স্থাপত্য।
এবার দাবি করা হয়েছে, দিল্লির মেহেরুলিতে অবস্থিত কুতুব মিনারের জায়গায় আগে নাকি ছিল হিন্দু এবং জৈন ধর্মের বেশ কয়েকটি মন্দির। এই দাবিতেই এবার কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে পূজার অধিকার চেয়ে সাকেত জেলা আদালতে দায়ের করা হয়েছে একটি মামলা। মামলার আবেদনে যা বলা হয়েছে, সে অভিযোগ অনুযায়ী-বিগত বারোশো শতাব্দীতে কুতুবুদ্দিন আইবক, দিল্লিতে সুলতান শাহী স্থাপনের আগে সেখানে ২৭টি মন্দির ছিল।
এর মধ্যে জৈন তীর্থঙ্কর ভগবান ঋষভ দেবএর উপাসনাস্থল সহ বিষ্ণু, গণেশ, শিব, সূর্য, হনুমান, দেবী গৌরী মিলিয়ে মোট ২৭টি মন্দির ছিল। সব মন্দির ভেঙে নাকি কুতুবুদ্দিন আইবক তৈরি করেছিলেন এই মিনারটি। যেসব মন্দির ভাঙা হয়েছে, তাঁদের সেখানে আবার স্থাপন করা এবং দেবদেবীর সম্পূর্ণভাবে আচার-অনুষ্ঠান পালন করা সহ পূজা করার অধিকার চেয়ে মামলাটি করা হয়েছে এবার।
এবং একইসঙ্গে মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, ১৮৮২ সালের ট্রাস্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী, ভারত সরকারকে কুতুব মিনার কমপ্লেক্সের মধ্যে অবস্থিত মন্দির কমপ্লেক্সের পরিচালনা এবং প্রশাসনের জন্যে একটি ট্রাস্ট তৈরি করার নির্দেশও যেন দেওয়া হয়। গোটা বিশ্ব জানে, ঐতিহাসিক স্থাপত্যের দিক দিয়ে ভারত উপমহাদেশ এক অনন্য অবস্থানে। বুক চিতিয়ে নিজের আদর্শ নিয়ে মেরুদণ্ড সোজা করে বেঁচে আছে। বিভিন্ন দেশে প্রদেশে, জনপদে জনপথে এখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সেইসব অনিন্দ্য স্থাপত্য নিদর্শন। এর মধ্যে একটি কুতুব মিনার।
দিল্লিতে অবস্থিত একটি স্তম্ভ বা মিনার, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ ইট-নির্মিত মিনার। এটি কুতুব কমপ্লেক্সের মধ্যে অবস্থিত, পাথর দিয়ে কুতুব কমপ্লেক্স এবং মিনারটি তৈরি করা হয়েছে। লাল বেলেপাথর দিয়ে নির্মিত কুতুবের উচ্চতা ৭২.৫ মিটার (২৩৮ ফুট)। মিনারটির পাদদেশের ব্যাস ১৪.৩২ মিটার (৪৭ ফুট) এবং শীর্ষ অংশের ব্যাস ২.৭৫ মিটার (৯ ফুট)। ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে নির্মাণকার্য সমাপ্ত হয় এই মিনারের। কুতুব মিনার চত্বরের মধ্যে অবস্থিত মন্দিরের পরিচালনার জন্য ট্রাস্ট গঠন করার নির্দেশ দেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে পিটিশনে।
আসসালামু আলাইকুম কি আর বলবো আর কত দিন। হিন্দু বা কাফেরদের নির্জাতন সইবো। এর কি কোন অবসান নেই।আর কিছু বলতে পারতেছিনা।আল্লাহ মাফ করোক আমিন
মোমবাতির মেয়াদোত্তির্নের শেষের দিকে এমনটিই হয়।