চিকিৎকের অবহেলায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে এক রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় দোষী চিকিৎসকের বিচার ও কর্মবিরতি প্রত্যাহারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী।
এদিকে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চিকিৎসকদের আহত করা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে দোষীদের শাস্তি এবং সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মত চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের বকুলতলা চত্বরে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় মৃত রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা।
ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শামীম আহমেদ, ফজলুর রহমান, বিষ্ণু চন্দ্র মন্ডল প্রমুখ। এ সময় বক্তারা, চিকিৎসা অবহেলায় রোগী মৃত্যুর জন্য দোষী চিকিৎসকের শাস্তি, হয়রানিমূলক মামলা ও নিরীহ রোগীদের জিম্মী করে তাদের হয়রানি বন্ধে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এদিকে, জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ও জেলার সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে তৃতীয় দিনের মত কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. মুহা. মাহফুজুর রহমান সোহান জানান, যত দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন হবে তত দ্রুতই আমরা কাজে ফিরে যাব। আমাদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে আজ থেকে ময়মনসিংহ বিভাগের সকল জেলায় চিকিৎসকরা ব্যাক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের চিকিৎসকদের ধর্মঘট অব্যাহত থাকায় ভেঙে পড়েছে জেলার চিকিৎসাব্যবস্থা। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে লাখো মানুষ। গুরুতর ও মুমূর্ষু অনেক রোগী সেবা না পেয়ে হাসপাতাল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে রোগী ও স্বজনরা।
তবে জামালপুর আড়াইশ’শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য জরুরি ও অন্ত:বিভাগের সেবা চালু রয়েছে।
তিনি বলেন, ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়নি। সুষ্ঠু বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
গত ২৫ ডিসেম্বর একজন নারী রোগীর মৃত্যু ঘটনায় রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা-ভাঙচুর ও কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধর এবং সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহার ও দোষীদের শাস্তিসহ ৪ দফা দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে জামালপুরের সকল চিকিৎসক।
অপরদিকে, চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু, রোগীর স্বজনদের ওপর হামলা এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মৃত রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী।