ফিলিস্তিনি মালিকানাধীন ৮৯ টি ভবন ধ্বংস করেছে দখলদার ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ৮৩ শিশুসহ ১৪৬ জন ফিলিস্তিনি গৃহহীন হয়েছে। এছাড়াও কমপক্ষে ৩৩০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয় সংস্থা (ওসিএইচএ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য দিয়েছে। খবর কুদুস নিউজ নেটওয়ার্ক।
সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি মাত্র ২ সপ্তাহে উত্তর জর্ডান উপত্যকার হামসা আল-বাকিয়্যাহ এলাকায় ৩৭ টি ফিলিস্তিনি ভবন সম্পূর্ণভাবে গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী। এসব আগ্রাসনের অসংখ্য ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের এ এলাকাটিকে ইসরায়েল সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করতে চায়। যার ধরুন এ এলাকায় ভবনগুলো গণ-ধ্বংসের শিকার হতে হয়েছে।
অন্যদিকে, গত দুই সপ্তাহে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরে উচ্ছেদ অভিযান চালায় সন্ত্রাসবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ৮০ জন ফিলিস্তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গুড়িয়ে দেয়া হয় অনেক বাড়ি।
অপরদিকে পশ্চিম তীরের উত্তর জেনিন শহরে ১৩ টি পানির পাইপ ধ্বংস দিয়েছে ইসরায়েল। ফলে মারাত্মকভাবে পানির কষ্টে ভোগছে ফিলিস্তিনিরা। এছাড়াও পূর্ব জেরুজালেম, জেনিনে ৮ টি বসতি গুড়িয়ে দেয় ইসরায়েল।
উল্লেখ্য যে, চলতি বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাত্র ২ মাসে ১৯৯ টি ভবন গুড়িয়ে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এটি গত বছর ২০২০ এর তুলনায় অনেক বেশি বলে জানিয়েছে ওসিএইচএ।
গুড়িয়ে দেয়া ভবনগুলোর মধে এমনও কিছু ভবন রয়েছে যেগুলোকে ফিলিস্তিনিদের নিজ হাতে ভাঙতে বাধ্য করেছে ইসরায়েল। ফলে অসংখ্য ফিলিস্তিনি নিজ বাড়িঘর হারিয়ে হয়েছেন বাস্তুচ্যুত। অনেকে হয়েছেন নিঃস্ব।