কিছুদিন আগেই দিনে পাঁচবার নামাজ এবং সঙ্গে আজানের বিরোধিতা করে জেলা শাসকের কাছে চিঠি লিখেছিল উত্তর প্রদেশের গেরুয়া সরকারের কট্টর হিন্দুত্ববাদী মন্ত্রী আনন্দ স্বরূপ শুকা। এবার সেই মন্ত্রী সরব হয়েছে মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরিধানের ব্যাপারে। গোমূত্র পান করা এই মন্ত্রী মনে করে বোরখা পরিধান করা আদতে একটি অমানবিক কু-প্রথা যা প্রগতিশীল চিন্তাধারার কোনো মুসলিম সমর্থন করতে পারে না। মনে করে খুব শীঘ্রই এমন সময় আসবে যখন মুসলিম মহিলাদেরকে তারা এই বোরখা পরিধান এর হাত থেকে বিরত রাখবে।
মূর্খতার চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়ে যোগী রাজ্যের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী শুক্লা বলেন, বিশ্বের বহু মুসলিম দেশে বোরখা পরিধান করা নিষিদ্ধ আছে। কিন্তু সেটা কোন মুসলিম দেশ তা বলতে পারেননি এই মিথ্যা প্রচারক। বোরখা পরিধানের প্রথাকে তিনি তিন তালাকের সঙ্গেও তুলনা করেন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি জেলা শাসকের কাছে চিঠি লেখে এর সমাধান চেয়েছে বলে জানিয়েছেন।
কিছুদিন আগে তিনি লাউডস্পিকারে আযান দেওয়ার বিরুদ্ধে জেলা শাসকের কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন তার নাকি আযানের তিন মিনিটের সুমধুর ধ্বনির কারণে দৈনিক কাজে মন দিতে, যোগা করতে এবং পূজা-অর্চনায় সমস্যা হয়। কিন্তু দিনের পর দিন দূর্গা পূজা, দেওয়ালি গণপতির মতো পূজার সময় অবিরাম উচ্চ মাত্রার স্পিকার বাজানো হলেও কোনো সমস্যা হয় না তার।
ছাগলটার কল্লা উরাতে হবে
আল্লাহ আপনি এদের বিচার করেন।