বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নামাযরত মুসল্লি ও মোদিবিরোধী আন্দোলনে গুলি চালিয়েছে পুলিশ ও ছাত্রলীগ। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫ জনেরও অধিক মাদ্রাসা ছাত্র এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো প্রায় শতাধিক।
আজ ২৬ মার্চ শুক্রবার বাইতুল মোকাররম মসজিদে জুমুআর সালাত আদায়রত মুসল্লিদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। এসময় তাদের সাথে যোগ দেয় পুলিশ বাহিনীও। পুলিশ ও লীগ-সন্ত্রাসী বাহিনীর যৌথ হামলায় বাইতুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণ মুসল্লিদের রক্তে রঞ্জিত হয়ে যায়। আহত হয় অর্ধশতাধিক মানুষ। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে মুসলিমদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
দেশের বৃহত্তম দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম শহরের হাটহাজারি মাদরাসার ছাত্ররা বিক্ষোভ করেন। এসময় ছাত্রদের উপর সরাসরি গুলি চালায় হিন্দুত্ববাদীদের গোলাম পুলিশ বাহিনী। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন অনেকে। আহতদের চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে, সেখানে ৪ জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। শহিদরা (ইনশাআল্লাহ) হলেন- হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র রবিউল, মেরাজ, জামিল ও আব্দুল্লাহ্ নামের স্থানীয় একজন মুসলিম।
একইদিন বিকাল বেলায় ব্রাক্ষণবাড়ীয়ায় আন্দোলনরত মুসলিমদের উপরেও চড়াও হয় ভারতীয় গোলাম পুলিশ ও ছাত্রলীগ। এতে কাউতোলির একজন শহিদ (ইনশাআল্লাহ) হন, বিষয়টি সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিওতে নিশ্চিত করেছেন নিহতের আপন ভাই। সেখানে পুলিশের গুলিতে আহত হন আরো ২০ জনেরও অধিক।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকা এবং চট্টগ্রামের হামলার স্থানে পুনরায় মুসলিমদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করছে পুলিশ ও লীগ-সন্ত্রাসী বাহিনী।