জনগণের কাছে করোনার নাটক উন্মোচিত, বেকায়দায় আওয়ামী সরকার

    4
    1661
    জনগণের কাছে করোনার নাটক উন্মোচিত, বেকায়দায় আওয়ামী সরকার

    কৃত্রিমভাবে করোনা সংক্রমণ দেখানোর চেষ্টা করেছিলো মাফিয়া সরকার আওয়ামী লীগ। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানেই সাধারণ জনগণের কাছে সূর্যের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে করোনার আসল ঘটনা। ন্যায়ের পক্ষে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনকে স্তিমিত করা আর করোনার দোহাই দিয়ে ভ্যাক্সিন ব্যবসার মাধ্যমে জনগণের কষ্টের টাকা হাতিয়ে নেয়াই যে কথিত এই লকডাউনের উদ্দেশ্য তা আজ প্রমাণিত।

    ঘটনা শুরু হয় মালাউন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী গুজরাটের কসাই খ্যাত নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ মেনে নিতে পারেনি এই কসাইয়ের আগমনকে। প্রতিবাদ জানানো হয়েছে দেশটির সকল ঘরানার প্রান্ত থেকে। তাই জনগণের বাস্তব অনুভূতির জায়গা থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। কিন্তু গোলাম হিন্দুত্ববাদী আওয়ামী সরকার তার ভারতীয় প্রভুকে খুশি করতে জনগণের চাওয়াকে তোয়াক্কা না করে হামলা, মামলা, হত্যার জঘন্য রাজনীতি শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে আন্দোলনের প্রায় সকল কেন্দ্রীয় আলিমদের। আর গ্রেফতারের পরপরই কথিত সর্বাত্মক লকডাউন শিথিল করার মাধ্যমেই প্রমানিত হয়েছে হিন্দুত্ববাদী মাফিয়া সরকারের আসল উদ্দেশ্য। আর সোস্যাল মিডিয়ায় সাধারণ জনগণের অভিব্যক্তিও এটাই। জনগণের সাথে প্রহসনের লকডাউন লকডাউন খেলতামাসা করে কালো চমশা পরে পায়তারা করছে এই সরকার।

    অন্যদিকে করোনার নাম করে আগের মতোই সরকারিভাবে ব্যাপক দুর্নীতি করে যাচ্ছে এই সরকার। করোনাভাইরাসের কথিত মহামারির মাধ্যমে দেশের বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি ও অনিয়মের কলঙ্কের মাধ্যমে নিত্যনতুন কেলেঙ্কারি প্রকাশ পাচ্ছে। সর্বশেষ ঢাকায় করোনা চিকিৎসায় বিশেষায়িত হিসেবে বিবেচিত ৯টি হাসপাতালে কেনাকাটায় অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেছে খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা বিভাগ। এই ৯টি হাসপাতালে ৯৫ খাতে কেনাকাটায় ৩৭৫ কোটি টাকার অনিয়ম পাওয়া গেছে। ২০ ধরনের অনিয়ম চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কয়েক গুণ বেশি দামে ওষুধ-সরঞ্জাম কেনা, ৩৫০ টাকার কম্বল দুই হাজার ৪১৮ টাকায় কেনা, ওষুধ-সরঞ্জাম বুঝে না পেয়েই বিল পরিশোধ, ব্যবহারের অযোগ্য পণ্যও কেনা, একই মালিকানার তিন প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশ নেওয়ার জন্য বাছাই করা, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া এবং প্রয়োজন ছাড়াও কেনাকাটা করা ইত্যাদি। গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে ১১ সদস্যের একটি দল এই নিরীক্ষা কার্যক্রম চালায়।

    হাসপাতালগুলো হচ্ছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। তবে সব হাসপাতালেই ৯৫টি খাতের সব অনিয়ম ঘটেনি, কমবেশি হয়েছে।

    কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দীসহ কয়েকটি হাসপাতালে কেনাকাটার সময় নিয়ম অনুযায়ী ১০ শতাংশ হারে জামানত না রেখেই কার্যাদেশ ও বিল দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে একটি ব্যয়বহুল এক্স-রে মেশিন বুঝে না পেয়েই দুই কোটি ৮০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে কিছু রি-এজেন্ট এবং ডেঙ্গু ডিভাইস বুঝে পাওয়ার আগেই বিল পরিশোধ করার ঘটনা ঘটেছে। সব হাসপাতালেই মেরোপেনেম ইনজেকশন কেনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম হয়েছে। কোনো কোনো হাসপাতাল বাজারমূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মূল্যে এই ইনজেকশন কিনেছে। এরকম শ শ দুর্নীতির পাহাড়ে আসীন এই ক্ষমতাসীন মাফিয়া আওয়ামী সরকার।

    কথিত এই লকডাউনের ভিন্ন আরেকটি উদ্দেশ্যও সামনে আনছেন অনেক বিজ্ঞজন। চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে বেতন-ভাতার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে গুলি করে হত্যা করা হয় পাঁচজন শ্রমিককে। আহত হয়েছেন অন্তত আরো ২৩জন। মাফিয়া বাহিনী পুলিশ এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

    বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সওগাত ফেরদৌস বলেন, ‘আহত অবস্থায় অনেককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে চারজন মারা গেছেন।’ তিনি জানান, নিহত চারজন হলেন আহমেদ রেজা (১৮), রনি (২২), শুভ (২৪) ও মো. রাহাত (২২)। আহত ব্যক্তিদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাবিবুল্লাহ (১৯) নামের একজন মারা যান। বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিউর রহমান মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের মুহুর্তে বাশখালির এই ঘটনা জালিম সরকারের ক্ষমতার মসনদ অনেকটাই কেপে ওঠে। তাই এক ঢিলে দুই পাখি মারতে জনগণের দূর্ভোগের কথা চিন্তা না করে চাপিয়ে দেয়া হয় এই লকডাউন। রাস্তার টোকাই থেকে শুরু করে প্রায় সকল পেশাজীবি নিদারুণ কষ্টের সম্মুখীন হন। তবে জনগণ আর বোকা নেই। সোস্যাল মিডিয়ায় একজন বাচ্চা টোকাইয়ের ঘটনা তা চোখে আংগুল দিয়ে খুব সহজেই তা প্রমাণ করে।

    জনগণকে বোকা ভাবা মাফিয়া সরকার নিজেই আজ বেকায়দায়। সরকার পতনের ডাক যেন বাজছে প্রতিদিনই। তাই সকল জায়গা থেকেই কথা উঠেছে কতোদিন টিকে থাকতে পারবে হিন্দুত্ববাদী জালিম এই সরকার?

    4 মন্তব্যসমূহ

    1. হে আল্লাহ! এই সমস্ত জাহান্নামের কীটগুলোকে(যিন্দীক,জালিম, মাফিয়া হাসিনা ও তার ও তার পা চাটা গোলাম বাহিনী) লাঞ্ছিত করুন এবং এদেরকে ধ্বংস করে এই জমিনকে পবিত্র করুন।এবং মুসলিম উম্মাহকে নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত করে নিন এবং সম্মানিত করুন।এবং মুসলিম উম্মাহর অকুতোভয় জানবায মুজাহিদদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। এবং তাদের জন্য খেলাফত প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করে দিন। আমীন ইয়া রব্বাশ শুহাদায়ি ওয়াস সালিহীন।

    2. মাফিয়ার পতন অতিশীঘ্রই……….

      হে আল্লাহ! তুমি সারাবিশ্বের মুজাহিদীন ভাইদের সুস্হতা এবং নিরাপত্তা দান করো ।
      এবং আল-ফিরদাউস মিডিয়ার সকল ভাইদেরকে সুস্হতা এবং নিরাপত্তা দান করো এবং ভাইদেরকে তোমার দ্বীনের জন্য কবুল কর ।
      আমিন….ছুম্মা আমিন……

    Leave a Reply to arif প্রতিউত্তর বাতিল করুন

    দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
    দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

    পূর্ববর্তী নিবন্ধআল-ফিরদাউস নিউজ বুলেটিন || এপ্রিল ৩য় সপ্তাহ, ২০২১ঈসায়ী ||
    পরবর্তী নিবন্ধপাকিস্তান | টিটিপির স্নাইপার হামলায় এক মুরতাদ সৈন্য নিহত