আফগানিস্তানের হেলামান্দ প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে মুরতাদ কাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র অভিযান চালাচ্ছেন তালিবান মুজাহিদিন। প্রদেশটিতে কেবল গত ৫ মে ২৪ ঘন্টার লড়াইয়ে তালিবান যোদ্ধাদের হাতে নিহত ও আহত হয়েছে ২৩০ এরও বেশি কাবুল সৈন্য।
রিপোর্ট অনুযায়ী, হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্করগাহ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ইমারতে ইসলামিয়ার তালিবান মুজাহিদিনরা মুরতাদ কাবুল বাহিনীর সামরিক পোস্ট, ঘাঁটি, ব্রিগেড এবং অপারেশনাল ফোর্সের বিরুদ্ধ ভারী সশস্ত্র হামলা চালিয়েছেন।
হামলার ফলস্বরূপ, ৫৭ মুরতাদ সৈন্য নিহত এবং আরো ডজনখানেক সৈন্য আহত হয়েছে। এসময় মুরতাদ বাহিনী ভারতীয় বিমান ও হেলিকপ্টারগুলির সহায়তায় বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালিয়েছে, কিন্তু মুজাহিদদের দাপোটে অভিযানের ফলে মুরতাদ বাহিনীর সদস্যরা সীমান্ত এলাকাগুলো ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। নিহত মুরতাদ সৈন্যদের লাশ যুদ্ধক্ষেত্রে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
বিপরীতে শত্রুবাহিনীর বোমা হামলায় ৫ জন মুজাহিদিন আহত ও অপর দু’জন মুজাহিদ শহীদ হয়েছেন। আল্লাহ তাআলা তাদের শাহাদাতকে কবুল করুন। আমিন।
এদিকে গতকাল রাত ৮ টায় হেলমান্দ প্রদেশের গ্রেশক ও শোরাব জেলার মধ্যবর্তী স্পিন মসজিদের দামান্দা অঞ্চল হয়ে হেরাত প্রদেশের দিকে যাওয়ার পথে পুতুল প্রশাসনের ভাড়াটে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটালিয়ন ও সামরিক বহরে মুজাহিদীনরা প্রথমে কৌশলগত বোমা বিস্ফোরণ ঘটান।
এসময় মুজাহিদদের শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে ৩০ পুতুল সেনা নিহত হয়েছে। ৩টি বেলচা (সাঁজোয়া যান) এবং কয়েক রাউন্ড গোলাবারুদ সহ ব্যাটালিয়নটি ধ্বংস হয়ে যায়।
পরে বাকী সৈন্যদের উপর তালিবান মুজাহিদিন একটি ক্লিয়ারিং অপারেশন চালান, যার ফলশ্রুতিতে আরও ২৩ পুতুল সৈন্য মারা যায়। অভিযান শেষে মুজাহিদগণ দুটি সাঁজোয়া যান, ৯টি ভারী মেশিনগান, ৯ কার্বাইন বন্দুক, ৫ কালাশনিকভ, ৬টি গেরিলা মর্টার, ১ খরগো, ৯টি ইউএসপিজি কামান, ৯ টি মাঝারি মর্টার, ৬টি কামান, ২টি রকেট, ৫০ প্যারাসুট, মর্টার এবং এসপিজি ৯টি কামানের শেল গনিমত লাভ করেছেন। এছাড়াও, এই অভিযানের সময়, কাবুলের জাতীয় পুলিশ ৩টি কালাশনিকভ অ্যাসল্ট রাইফেল, ৮৭টি রকেট চালিত গ্রেনেড, ২০টি হ্যান্ড গ্রেনেড লঞ্চার, ১০টি গ্রেনেড, দুটি বড় এবং দুটি ছোট রেডিও, ১৭২টি গোলা-বারুদ ভর্তি বক্স এবং বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদ মুজাহিদগণ বাজেয়াপ্ত করেছেন।
এমনিভাবে এদিন রাত ১১ টার দিকে দক্ষিণ হেলমান্দে হালকা, ভারী এবং লেজার অস্ত্র ব্যবহার করে কাবুল বাহিনীর উপর পৃথক দুটি অভিযান চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। ফলে মুজাহিদগণ ২টি চেকপয়েন্টে বিজয় করতে সক্ষম হন। এসময় ঘটনাস্থলেই ১৭ ভাড়াটে মারা যায় এবং আরও ৩ সৈন্যকে বন্দী করেন মুজাহিদগণ। তবে এই অভিযানে দু’জন মুজাহিদও আহত হয়েছেন।
গতরাত সাড়ে ১২ টায় হেলমান্দ প্রদেশের কাজাকি জেলা কেন্দ্র এবং জেলাটির টাঙ্গি এলাকায় মুরতাদ কাবুল প্রশাসনের ২টি সেনা ও পুলিশ চৌকিতে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে তা বিজয় করে নিয়েছেন তালিবান মুজাহিদগণ। আক্রমণের ফলে ১২ পুতুল মারা যায় এবং আরো ৩ পুতুল সৈন্য আহত হয়। এসময় শত্রু বিমানগুলিও ওই এলাকায় মুজাহিদদের লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করে। যার ফলে ৩ জন মুজাহিদ আহত এবং আরও দুজন শাহাদাত বরণ করেন। আল্লাহ তাআলা তাদের কবুল করুন।
এদিন সকাল ১১ টায় শোরাব জেলায় মুরতাদ কাবুল সরকারের ভাড়াটে সৈন্যদের একটি ব্যাটালিয়ন টার্গেট করে দুটি কৌশলগত মাইন বিস্ফোরণ ঘটান তালিবান মুজাহিদগণ। এরপরে রকেটের মাধ্যমে কাবুল বাহিনীকে আরও একটি ঝাঁকুনি দেন মুজাহিদগণ। যার ফলে মুরতাদ বাহিনীর ৬ টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস এবং ১৩ মুরতাদ সৈন্য নিহত হয়।
একইসময় হেলমান্দের সাংগিন জেলায় মুরতাদ বাহিনীর আরো ২টি পোস্টে হামলা চালিয়ে তা বিজয় করে নেন তালিবান মুজাহিদগণ। এসময় মুজাহিদদের হামলায় ঘটনাস্থলেই ৯ মুরতাদ সৈন্য নিহত হয়। বাকি সৈন্যরা আহত অবস্থায় পোস্ট ছেড়ে পালিয়ে যায়। বিপরীতে শত্রু বাহিনীর হামলায় ৩ জন মুজাহিদ আহত হন।
অপরদিকে গতকাল সকালে হেলামন্দের প্রাদেশিক রাজধানী লস্করগাহের বোলান এলাকায় কাবুল বাহিনীর উপর তীব্র হামলা চালিয়েছেন তালিবান মুজাহিদিন। যার ফলো মুরতাদ বাহিনীর ২টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস এবং ১৫ সৈন্য নিহত ও ২০ সৈন্য আহত হয়েছে। বাকি সৈন্যদের সাথে ভয়াবহ লড়াই চলছে বলেও জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রাদেশিক রাজধানী লস্করগাহের প্রতিটি হাসপাতালে আহত সৈন্যদের ভিড় বেড়েই চলছে।
আলহামদুলিল্লাহ
Alhamdulillah….যে সমস্ত ভাই শহীদ হয়েছেন আল্লাহ তাদের শাহাদাত কে কবুল করুণ!!!
আলহামদুলিল্লাহ ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ ।
আলহামদুলিল্লাহ…..
যেসব সৈন্য নিহত হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে জাহান্নামের মেহমান হিসাবে কবুল করুন এবং যারা আহত হয়েছে আল্লাহ তাদের সাথে দ্রুত আজরাইলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দিন, আমিন…
অপর দিকে যেসব মুজাহিদ ভাইরা শহীদ হয়েছেন আল্লাহ তাঁদেরকে শুহাদা হিসাবে কবুল করুন এবং জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন আর যাঁরা আহত হয়েছেন আল্লাহ তাঁদেরকে দ্রুত শিফায়ে কামেলা নসিব করুন, আমিন……
হে আল্লাহ! তুমি ইসলামকে আরো শক্তিশালী করো এবং মুসলিমদেরকে আরো বিজয় দান করো এবং বিশ্বের মুজাহিদীন ভাইদের সুস্হতা এবং নিরাপত্তা দান করো ।
আমিন ইয়া রব্বাল আলামীন…….