নওগাঁয় পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলায় কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে অনিশ্চয়তা

0
1570
নওগাঁয় পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলায় কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে অনিশ্চয়তা

নওগাঁ পৌরসভা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রকল্পের (ইউজিআইআইপি-৩) অধীনে নওগাঁ পৌরসভায় একটি স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি স্থানে গণশৌচাগার নির্মাণের জন্য গত বছরের ৩০ নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র বাছাই শেষে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল কাজটি পায় মেসার্স খান বিল্ডার্স-ইথেন এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ১৩ এপ্রিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পৌরসভা কার্যাদেশ পায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার ২৪৭ টাকা। ওই প্রকল্পের আওতায় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ছাড়াও নওগাঁ শহরের ডিগ্রি কলেজের মোড়, পৌর বাজারের কিচেন মার্কেট, মুক্তির মোড়, সুপারিপট্টি, তুলশীগঙ্গা ও দয়ালের মোড়ে ছয়টি গণশৌচাগার নির্মাণের কথা রয়েছে। ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলেন, পৌরসভা সাইট বুঝিয়ে না দেওয়ায় তাঁরা কাজ শুরু করতে পারছেন না। নওগাঁ শহরের ডিগ্রির মোড়-বাইপাস সড়কের পাশে পৌরসভার কোমাইগাড়ী মৌজায় স্যানেটারি ল্যান্ডফিলের স্থান নির্ধারণ করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। স্থানটিতে দীর্ঘদিন ধরে শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছে পৌরসভা। ওই স্থানে বর্তমানে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ওই স্থান থেকে ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সাইট বুঝিয়ে দেওয়ার কথা পৌর কর্তৃপক্ষের। কিন্তু সেখান থেকে এখনো ময়লা-আবর্জনা সরানো হয়নি। এখনো প্রতিদিন ১০-১২ টন ময়লা ফেলা হচ্ছে। এ বিষয়ে একাধিকবার চিঠি চালাচালির পরেও পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়নের চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে গত ২৭ জুলাই পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খান বিল্ডার্স-ইথেন এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক ইকবাল শহরিয়ার বলেন, ‘চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল কার্যাদেশ পাওয়ার ১৫ দিন অপেক্ষার পরেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সাইট বুঝিয়ে দেয়নি। এ কারণে তাঁরা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীকে গত ২৭ এপ্রিল চিঠি দেন। সাইট থেকে ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে কাজের পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে পরে আরও তিনটি চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সাইট বুঝিয়ে না দেওয়ায় আমরা কাজ শুরু করতে পারছি না। বারবার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও সাইট বুঝে না দেওয়ায় আমরা চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যেও যদি আমাদেরকে সাইট বুঝিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আমরা কাজ শুরু করব।’

 

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধতুরস্কের স্বপ্নে আবারো পানি ঢাললেন তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ
পরবর্তী নিবন্ধজনগণের টাকায় কেনা ১৬ হাসপাতালে ২৮টি যন্ত্র বাক্সবন্দী