ক্ষমতায় আসার পর দ্বিতীয়বারের মত আফিম চাষ নিষিদ্ধ করতে শুরু করেছে তালিবান

1
1111
ক্ষমতায় আসার পর দ্বিতীয়বারের মত আফিম চাষ নিষিদ্ধ করতে শুরু করেছে তালিবান

দ্বিতীয়বারের মত আফগানিস্তানের শাসনভার গ্রহণ করেছে তালিবান।ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবারের মত এবারো তাঁরা পোস্ত চাষ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করতে শুরু করেছে, যেমনটি তাঁরা ১৯৯৯ সালে করেছিল।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায় ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের তালিবান মুজাহিদিন রাজধানী কাবুল বিজয়ের পর ইতিমধ্যে তারা দেশের শাসনভার গ্রহণ করেছেন। ক্ষমতায় আসা পরই তালিবানরা আফিমের কাঁচামাল পোস্ত নিষিদ্ধ করতে শুরু করেছে।

আফিমের কাঁচামাল পোস্ত বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন পশুর খাদ্য, তেল এবং ওষুধ শিল্পে ব্যবহার করা হয়। তাই যেসব ক্ষেত্রে আফিম পোস্ত ছাড়া ওষুধ উৎপাদন করা সম্ভব, ইতিমধ্যে সেসব ওষুধ উৎপাদনে অফিম ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে তালিবান। ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ অফিম চাষ নিষিদ্ধ করতেও কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন তাঁরা। কেননা ওষধের জন্য আফিম চাষ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা না হলে কুচক্রী মহলের কারণে আফিম থেকে হেরোইন উৎপাদন সম্পূর্ণরূপে রোধ করা সম্ভব হবে না।

এই কারণে বলা হয়েছে যে, তালিবানরা আফগানিস্তানে সম্পূর্ণরূপে আফিম পোস্তের চাষ ও ব্যবসা নিষিদ্ধ করতে শুরু করেছে।

আঞ্চলিক সূত্র বলছে যে, তালিবানদের এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার কারণে সেখানে পোস্তের দাম ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তালিবানদের এই নিষিদ্ধকরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলেও জানা গেছে।

IMG-20210829-192027

ইমারতে ইসলামিয়ার তালিবান মুজাহিদগণ ১৯৯৪ সালে যখন রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিসেবে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসেন, তখন তাঁরা প্রথমে মাদক নিষিদ্ধ করেন, কিন্তু তারা অফিম/পোস্ত চাষে বিধিনিষেধ আরোপ করলেও তখন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে কিছু সময় নেন। কেননা এটি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজেও ব্যবহৃত হত। যাইহোক, তালিবানদের বিধিনিষেধ সত্ত্বেও, অবৈধভাবে পোস্তকে হেরোইনে রূপান্তর করে কিছু কুচক্রী মহল, ফলে ১৯৯৯ সালে আফগানিস্তানে পুরোপুরি আফিম চাষে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তালিবান সরকার।

ইমারতে ইসলামিয়ার এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০০০ সালে আফগানিস্তান থেকে হেরোইন উৎপাদন ৯৭% হ্রাস পেয়েছিল।

অপরদিকে আফগানিস্তানের উত্তর -পূর্বাঞ্চলে তালিবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত প্রভাবশালী উত্তর জোট তাদের অঞ্চলে হেরোইন চাষ জারি রাখে, যা তাদের অর্থায়নের জন্য ব্যবহৃত হত। ফলে হেরোইন উৎপাদনের এই হার শতভাগে পৌঁছায়নি।

যাইহোক তালিবানদের মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই বিশ্বব্যাপী তখন প্রশংসা পেয়েছে। ২০০০ সালে, জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসনকে মাদকের বিরুদ্ধে কার্যকর লড়াইয়ের জন্য তখন ধন্যবাদও জানায়। কিন্তু ক্রুসেডের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখানে অভিযান শুরু করলে পূণরায় এসব নিষিদ্ধ বস্তু চাষাবাদ বৃদ্ধি পায়, কেননা আমেরিকা ও তাদের গোলম কাবুল সরকার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাই এসবের সাথে জড়িত ছিল।

১টি মন্তব্য

Leave a Reply to ahmed tasfin প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো যেন অসহায়দের সাথে তামাশারই নামান্তর
পরবর্তী নিবন্ধপাকিস্তান | একদিনে পাক-তালিবানের ৪ হামলা, হতাহত ১৪ এরও বেশি মুরতাদ সেনা