পাঞ্জশির প্রদেশে আমরুল্লাহ সালেহের বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে মার্কিন ডলার এবং স্বর্ণের বার লুকানো ছিল, যা সম্প্রতি ইমারতে ইসলামিয়ার সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
তালিবান সূত্র দাবি করেছে যে, পাঞ্জশির উপত্যকায় রাষ্ট্রদোহী শক্তির অন্যতম নেতা হয়ে ওঠা একসময়ের কাবুলের পুতুল সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহের বাসা থেকে কয়েকটি সুটকেস ভর্তি মার্কিন ডলার এবং সোনার বার উদ্ধার করেছেন মুজাহিদগণ।
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের মাল্টিমিডিয়া শাখার প্রধান আহমদুল্লাহ মুত্তাকি হাফিজাহুল্লাহ্ টুইটারে সালেহের বাসভবনে অভিযানের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মুজাহিদগণ বৈদেশিক মুদ্রা এবং স্বর্ণের বার ভর্তি স্যুটকেস নিয়ে বসে আছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ঐ ভিডিওতে তালেবান মুজাহিদদের নগদ অর্থের গাদা গুনতে দেখা যায়।
শাইখ মুত্তাকি দাবি করেন, সালেহের বাসা থেকে ১৮ টি স্বর্ণের বারসহ মোট ৬.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র থেকে আরও জানা যায়, সালেহের বাড়ি থেকে উদ্ধারকৃত এসব নগদ অর্থ ও স্বর্ণের বার ইমারতে ইসলামিয়ার কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
সূত্রটি আরও জানায়, এর আগের দিন মুজাহিদগণ তল্লাশি চালিয়ে আমরুল্লাহ সালেহের নামে থাকা আরও ১ লক্ষ মার্কিন ডলার উদ্ধার করেছেন।
আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিবান কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা বেশ কয়েকজন প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তার বাসস্থান থেকে ১২,৩৬৮,২৪৬ মার্কিন ডলার পেয়েছেন। তাদের মতে, এই অর্থ আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইমারতে ইসলামিয়ার তালিবান মুজাহিদগণ আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর, মার্কিন সমর্থিত কাবুল প্রশাসনের দুই নম্বর নাম আমরুল্লাহ সালেহ পাঞ্জশির পালিয়ে যায় এবং আহমদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমদ মাসউদের সমন্বিত রাষ্ট্রবিরোধী দলে যোগ দেয়।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, কাবুল থেকে পালানোর সময় রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অনেক অর্থ চুরি করেছে সালেহ, আর এসব অর্থ দিয়েই পাঞ্জশিরে তারা রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যক্রম শুরু করেছিল। কিন্তু তালিবান মুজাহিদদের সামনে তাদের সকল প্রচেষ্টাই ব্যার্থ হয়। ফলে সালেহ তাজিকিস্তান ও মাসুদ ফ্রান্সে পালিয়ে যায়।
এই সম্পদগুলো আল্লাহ তায়ালা মুজাহিদদের জন্য জমা রেখেছিলেন। তাই তারা তাদের সম্পদ উত্তোলন করে নিয়েছেন।
আল্লাহ তায়ালা মুজাহিদীনের জন্য সম্পদ গুলো তাদের কাছে সংরক্ষিত রেখেছেন৷ উপযুক্ত সময়ে তা মুজাহিদীনের কাছে সোপর্দ করেছেন৷ আলহামদুলিল্লাহ৷
মুনাফিকরা দুনিয়াতেও বঞ্চিত আখিরাতেও চরম লাঞ্চিত হবে৷